ডাইনসরের দ্বীপে | Dinosarer Dwipe

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
না। রোদে-পোড়া তামাটে গায়ের রং। নাকের তলায় হাস্যকর এক জোড়া যত্ত্বে ছাটা সরু গৌফ। সারা কপালে ঘাম। চোখে চশমা। সমগ্র সত্তা নিমর্জিত টেবিল ভর্তি খাবারে। গোটা দশেক প্লেট সামনে। একটাতে স্তুপিকৃত চিবোনো হাড়। এই মুহূর্তে লোকটা দু'হাতে একটা তন্দুরি মুরগির টুকরো ধরে দাঁত দিয়ে ছিড়ছে। মুখের চারপাশে চর্বি আর ঝোলের চিহ্ন। গলায় ন্যাপকিন গৌজা থাকা AGS জামায় বিভিন্ন খাবারের ছিট ছিট নতুন পুরনো দাগ। উল্টো দিকের চেয়ারে ধপ করে হাতের ব্রীফকেস রাখল বিদেশী লোকটি। এবার মুখ তুলে তাকাল aH! এক গাল হেসে বলে উঠল ইংরেজিতে, “এসো এসো সাহেব, এসে গেছ? ACHAT’ কথার সঙ্গে সঙ্গে মুখ থেকে ছিটকে বেরোলো অর্ধচর্বিত মাংসের লালা মিশ্রিত কুচি। “খাবে না কি কিছু?” কোনোরকমে নিজেকে সামলে যতটা সম্ভব পিছিয়ে বসল বিদেশী | বলল, “একটু ভদ্রলোকের মতো খেতে পার না?” 'আরে ছাড়ো ওসব ভদ্রতা। খিদে পেয়েছে। খাচ্ছি। তা মিঃ ডা “pA করো। কোন নাম করবে AT!’ “আচ্ছা বাবা, আচ্ছা। তা আমার নাম তুমি স্বচ্ছন্দে করতে পার। আমি কাউকে ডরাই ATi চেচিয়ে বলতে রাজি আছি, আমার নাম সুবোধ প্রামাণিক।” বলেই খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠল। হাসির দমকে থলথলে শরীরটা কাপতে থাকল। হঠাৎ গম্ভীর হয়ে বলে উঠল, “এনেছো, যা আনার কথা?” “এনেছি।” ব্রীফকেসটা হাতে দিতেই একটু ফাক করে ভেতরটা দেখে নিল সুবোধ নামধারী ব্যক্তিটি। আবার সব ক'টা দাত বেরিয়ে পড়ল, কষ বেয়ে গড়াল একটু লালা। “পুরো পাচ লাখ আছে। গুণে নেবে না?” “আরে Bl Qi! তোমাকে পুরে বিশ্বাস করি আমি। ভরোসা হ্যায় তুমহারা উপর। আর তাছাড়া, সাহেবনন্দন, আমাকে ঠকালে তুমি নিজেই ঠকবে। বাকিটা দেবে কবে?” ১৯



Leave a Comment