রাজ কাহিনী [সংস্করণ-৩] | Raj Kahini [Ed. 3]

স্ুর্যদেবের আরতি করুন |” ব্রাহ্মণ একটু হেসে বল্লেন- “সকালে যে প্রদীপে দেবতার আরতি আরম্ভ করেছি, সন্ধ্যাতেও সেই প্রদীপে দেবতার আরতি করা চাই ! নতুন প্রদীপ তুলে রাখ, কাল নতুন দিনে নতুন প্রদীপে সহুর্ঘযদেবের আরতি হবে ।” সেইদিন ঠিক দ্বিপ্রহরে সুর্যের আলোয় যখন সমস্ত পৃথিবী আলোময় হয়ে গেছে, সেই সময় ব্রাম্ধণ স্থভাগাকে wag শিক্ষা দিলেন--যে মন্ত্রের গুণে সুর্যদেব স্বয়ং এসে ভক্তকে দর্শন দেন, যে-মন্ত্র জীবনে একবার ছাড়া ছুইবার উচ্চারণে নিশ্চয় যুত্যু। তারপর সন্ধিক্ষণে সন্ধ্যার অন্ধকারে আরতিশেষে নিভস্ত প্রদীপের মতো ব্রাহ্মণের জীবন-প্রদীপ ধীরে ধীরে নিভে গেল--সু্দেব সমস্ত পথিবী অন্ধকার করে অস্ত গেলেন | Wit] একল! পড়লেন | প্রথম দিনকতক Bot বুদ্ধের জন্য কেঁদে-কেঁদে কাটালেন | তারপর দিনকতক নিজের হাতে জঙ্গল পরিষ্কার করে মন্দিরের চারিদিকে ফলের গাছ, ফুলের গাছ লাগাতে কেটে গেল। আরও কতকদিন মন্দিরের পাথরের দেয়াল মেজে-ঘবৰে পরিষ্কার ক*রে তার গায়ে লতা, পাতা, ফুল, পাখি, হাতি, ঘোড়া, পুরাণ, ইতিহাসের পট লিখতে চলে CHA) শেষে স্ভাগার হাতে আর কোনো কাজ রইল না Wea তিনি সেই ফলের বাগানে, ফুলের মালঞ্চে একা-একাই ঘুরে বেড়াতেন। ক্রমে যখন সেই নতুন বাগানে ছুটি-একটি ফল পাকতে আরম্ভ হল, দুটি-একটি ফুল ফুটতে লাগল, তখন ক্রমে ছু-একটি ছোট পাখি, গুটিকতক রঙিন প্রজাপতি, সেই সঙ্গে একপাল ছোট-বড় ছেলে-মেয়ে দেখা দিলে। প্রজাপতি শুধু একটুখানি ফুলের মধু থেয়ে Wee faa, পাখি শুধু দু-একটা পাকা ফল ঠোকরাত wa; কিন্তু সেই ছেলের পাল ফুল ছিড়ে, ফল CATS ডাল ভেঙে চুরমার করত | Born কিন্তু কাকেও কিছু বলতেন না, হাসিমুখে সকল উৎপাত AW করতেন। গাছের তলায় সবুজ ঘাসে নান] রঙের কাপড় প”রে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে খেলে বেড়াত, দেখতে- ৩