লোকজীবনে শ্রীরামকৃষ্ণ | Lokjibane Sriramkrishna

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
থেকে শাক বাজছে ভো ভো করে।'''সকলে দৌড়ে দৌড়ে মন্দিরের সম্মুখে গিয়ে উপস্থিত ।.. তাদের মধ্যে একজন মন্দিরের দ্বার আস্তে আস্তে খুলে দেখে পদলোচন একপাশে দাড়িয়ে শাক বাজাচ্ছে। ঠাকুর প্রতিষ্ঠা হয় নাই-- মন্দির মার্জনা হয় নাই। তখন সে টেচিয়ে বলছে:'.'মন্দিরে তোর নাহিক মাধব...*।” ছড়াটি এবং তার তাৎপর্য বুঝিয়ে দিয়ে Satay বলছেন: “যদি হৃদয়-মন্দিরে মাধব প্রতিষ্ঠা করতে চাও, শুধু ভে! CS করে শাক ফুকলে কি হবে! আগে চিতগুদ্ধি কর।-''চামচিকার বিঠা থাকলে মাধবকে আনা যায় না। (এগার জন চামচিকে একাদশ ইন্ড্রিয়-পাচ জ্ঞানেন্্রিয়, পাচ কর্মেণ্রিয় আর মন । আগে মাধব প্রতিষ্ঠা, তারপর ইচ্ছা হয় বক্তৃতা লেকচার দিও |”) ছড়ার সাথে সাথে প্রবাদও ব্যবহার করেছেন তিনি, যেমন, কুমড়ো- কাটা বড় ঠাকুর” | শহুরে এক ভদ্রলোককে বলছেন শ্ররামকৃষ্ণ--“সে কি ? তুমি যে কুমড়োকাটা aw ঠাকুর হলে ! তুমি না সংসারী, না হরিভক্ত।'. এক একজন বাড়িতে পুরুষ থাকে-_মেয়েছেলেদের নিয়ে রাতদিন থাকে, আর বাহিরের ঘরে বসে SYA SYA করে তামাক থায়, নিষ্কর্মী হয়ে বসে থাকে। তবে বাড়ির ভিতরে কখনও গিয়ে কুমড়ো কেটে দেয়। মেয়েদের কুমড়ো কাটতে নাই, তাই ছেলেদের দিয়ে তারা বলে পাঠায়, বড়ঠাকুরকে ডেকে আন। তিনি কুমড়োটা gata করে দিবেন | তখন সে কুমড়োটা ছুখান] করে দেয়, এই পর্যস্ত পুরুষের ব্যবহার |” সামান্ত লোকের টাকার অহংকারকে বলা হয় ব্যাঙের আধুলি। শ্রীরামক্বষ্ অবস্য ব্যবহার করেছেন “Ailes টাকা থাকা' বাক্যটি। তিনি যে শুধু গ্রামীণ লোকসংস্কারের কথাই ব্যবহার করেছেন তা নয়, শহরের আধুনিক জীবনেও যে নতুন ধরণের লে।কলংস্কার গড়ে উঠেছে পে বিষয়েও তার তীক্ষ দৃষ্টি। এরকম একটি বিশ্বাস -কাগজের খবরের গুরুত্ব বৃদ্ধি। এ-প্রসঙ্গে Be করে শ্রীরামকৃষ্ণ বলছেন, “একজন এসে্‌ বললে, ওহে ! ওপাড়ায় দেখে ATT অমুকের বাড়ি হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ে CATH | যাকে ও কথা বললে, সে ইংরাজী লেখথা-পড়া জানে । সে বললে, Ate একবার খপরের কাগজ- খানা দেখি । খপরের কাগজ পড়ে দেখে CA বাড়ি ভাঙার কথা কিছুই নাই । তখন সে ব্যক্তি বললে, ওহে তোমার কথায় আমি বিশ্বাস করি না। কই বাড়ি ভাঙ্গার কথা তো খপরের কাগজে লেখে নাই। ওসব মিছে কথা।” ১৬



Leave a Comment