ভারতচন্দ্র-গ্রন্থাবলী [সংস্করণ-২] | Bharatchandra-granthabali [Ed. 2]

ভূমিকা মঙ্গল-কাব্য ঃ ভারতচন্দ্র-গ্রন্থাৰবলীর বর্তমান সংস্করণে মুদ্রিত “'রসমঞ্জীরী ও “বিবিধ” অধ্যায় ব্যতীত বাকী অংশ এক “অম্পদামঙ্গল” কাব্যের HIS | এই “অন্নদামঙ্গল'ই ভারতচন্দ্রের কবি-কীন্তির একমাত্র নিদর্শন, ইহ] বলিলেও ভুল হইবে না। বাংলা দেশে প্রচলিত অসংখ্য মঙ্গল-কাব্যের ইহা যে একটি, তাহা নামেই প্রকাশ | বাংলা ভাষার প্রায় জন্মকাল হইতে আরম্ভ করিয়। Ma অষ্টাদশ শতকের শেষার্ধ কাল পর্য্যন্ত নানা লৌকিক ও পোৌরাণিক দেবদেবীকে লইয়া এই মঙ্গল-কাব্যগুলি রচিত হইয়াছিল | ইহাদের গঠন ও প্রকৃতি বিচিত্র হইলেও বিষয় এক-_কোনও দেবতার প্রাধান্য কীর্্তন। “এই সব মঞঙ্গল-কাব্য প্রাচীন সংস্কৃত পুরাণ ও সংস্কৃত মহাকাব্যের মিশ্রিত আদর্শে লিখিত। সংস্কৃত পুরাণগুলি লিখিত হইয়াছিল বিশেষ বিশেষ সম্প্রদায়ের পৃজনীয় দেবতার MAM ও YH প্রচারের উদ্দেশ্যে সেই দেবতার ভক্তবিশেষ কোনো রাজা বা দেবাংশ মহাপুরুষের কীত্তি ও বংশ-বিবরণ অবলম্বন করিয়া ।**'মঙ্গল-কাব্যগুলি গান sim দেবতার মাহাত্ম্য ও পৃজা প্রচার করা হইত । সেই গান একটি বিশেষ রকম স্থুরে হইত, এবং সেই স্থুরকেও মঙ্গল বলিত ।.*'যে গান শুনিলে মঙ্গল হয়, যে গানে মঙ্গলকারী দেবতার মাহাত্ম্য প্রচারিত, যে গান মেলায় গীত, এবং যে গান একদিন ail করিয়। অর্থাৎ আরম্ভ হইয়৷ আট দিন ব্যাপিয় চলে, তাহাকেই মঙ্গল-গান বলে ।”* মঙ্গল-কাব্যগুলির বিষয়বস্তু, গঠন ও প্রকৃতি লইয়| অনেকে বিস্তৃত আলোচনা করিয়াছেন। বহুবিধ মঙ্গল-কাব্যের মধ্যে pel, * চারু বন্দ্যোপাধ্যায় : ‘Ha মঙ্গল-বোধিনী,” ২য় ভাগ, পৃ. ৮১৭-৮৮। ভাক