দীপক চৌধুরীর গল্প [সংস্করণ-১] | Dipak Choudhurir Galpa [Ed. 1]

মালবিকার ভবিষ্যৎ MOH সারে FAS সংসারট! অস্বদ্কার হায় যেতে মাত্র এক মুহূর্ত লাগল। স্টিফেন কোর্টের তিনতলার ঘরে বসে মালবিকার মনে হল, কে যেন হঠাৎ হুইচটা টিপে দিতেই ঘরটা ডুবে গেল ঘুটঘুটে অন্ধকারে । মনে হল, জীবনের কোথাও আর এক বিন্দু আলো রইল না। মালবিকার স্বামী walt রক্ষিত এইমাত্র মারা গেল। ডাক্তার চ্যাটার্জি ঘোষণা করলেন, স্থনীলকে বীচাতে পারলুম না। বীাঁচাবার জন্যে আমরা ANAT চেষ্টা করেছি--নত্যিই যথাসাধ্য । দম-দেওয়া গ্রামোফোন থেকে যেন কথাগুলো বেরিয়ে এল । প্রফেশনাল কথা। রোগী মারা গেলে সব ডাক্তারকেই এমনি ধরনের কথা বলতে হয়। ডাক্তার চ্যাটার্জিও বললেন। বলবার পর মালবিকার ওপর কি প্রতিক্রিয়া va তা পর্যবেক্ষণ করবার acy অপেক্ষা না ক'রে ডাক্তার চ্যাটার্জি ঢুকে পড়লেন চানঘরে। চান-ঘরের দরজাটা খোলাই ছিল | সাবান দিয়ে ভাল ক'রে হাত ধুয়ে তিনি ফিরে এসে বললেন, জন্ম এবং মৃত্যু আমাদের হাতের কৃতিত্বের ওপর নির্ভর করে না। নির্ভর করে না এমন কি পেনিসিলিনের ওপরও । অত্যন্ত দুঃখিত ।...নার্ন, তোমার তো এথানে কাজ ফুরিয়েছে !-_হাত-ঘড়িতে সময় দেখে নিয়ে তিনি পুমরায় বললেন, 'এখন মাত্র সন্ধ্যে ছটা। দু ঘণ্টা বিশ্রাম তুমি করতে পার অনায়াসেই | তারপর রাত আটটায় তোমাকে যেতে হবে গলস্টন ম্যানমনের তেরো নম্বর কামরায়। তেরো নম্বর? ও কার্ড! নম্বরটা তো দেখছি । সে যাক, মিস্টার জনসন বুড়ো মানহুয। BT পেরিয়ে গেছেন। নম্বরটা যতই দুর্তাগ্য- BES হোক না কেন, তার কোন ভবিষ্যৎ নেই।...অত্যস্ত দুঃখিত মিসেন রক্ষিত । এই নিন ডেথ-সার্টিফিকেট। ডাক্তার চ্যাটাজি এগিয়ে গেলেন দরজার দিকে । পেছন থেকে মালবিকা