সাহিত্য-কথা [ভাগ-১] | Sahitya-katha [Pt. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বর্তমান বঙ্গলাহিত্য ; কাব্য বা wa নূতন প্রকাশিত হইলেই আমরা তাহাকে cee শ্রেণীর ইংরাজী লেখার সঙ্গে, এমন কি বাঙ্গালী কবিকেও ইংরাজকবির সহিত তুলিত করি। এই অতুলন তুলনাশক্তির বিচিত্র উর্ক্রতার ফলেই আমরা মনস্বী বন্কিমচন্গ্রে স্কটকে দেখিয়াছি, নবীনচন্জ্রে বায়রণকে পাইয়াছি, হেমচন্দ্রে টেনিসনের ও দাস্তের আভাস পাইয়াছি, মধুহৃদনে মিল্টন পাইয়াছি ও রবীন্দ্রনাথে শেলীকে পাইয়াছি। আমরা মেঘনাদ বধে পপ্যারাডাইস লঞ্টে”র গন্ধ পাই, ছুর্গেশনন্দিনীতে 'আইভানহো”র ছায়া দেখি--বৃত্রসংহারে “ইন্ফার্ণো”র নমুনা মিলে । সম্পূর্ণ না পাইলেও carta করিয়া যেন কতকটা পাইতেই হইবে। এই প্রাপ্তিই যেন আমাদের চরমোৎকর্ষের পরিচায়ক ! বিলাতের ওকবৃক্ষ ও ভারতের বটবৃক্ষ যথাক্রমে বিলাতে ও ভারতেই সম্ভব । ভারতের পারিজাত ও বিলাতের লিলি কখনই এক নহে, হুইতেও পারে না। তবুও বিলাতী বিষ্তা- বিপুলতায় আমরা এমনই aril ও বিলাতী সভ্যতার তীব্র মাদকতায় এমনই অন্ধ যে, আমরা সোণার Heras গড়িয়া বস্য়া আছি। এই অনুচিকীর্যাই ভারতের কাল । যতদিন সাহিত্যে এইরূপ “যেচে মান” লইতে হইবে, ততদিন এ ve সাহিত্যের ব্যাধি উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই পাইবে | বঙ্গদেশের বরেণ্য সন্তান স্বর্গীয় ভূদেবচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলিয়াছেন ₹-- “আমি ইংরাজী বহি পড়িতাম ও ইংরাজীতে অনেক সময় বাধা হইয়া পত্রাদি লিখিতাম বটে, কিন্তু ইংরাজ ভিন্ন কাহারও সহিত ইংরাজীতে কথ] কহিতাম না। আর ইংরাজীতে fowl করিবার নিমিত্ত ত send con করি নাই। প্রত্যুতঃ যদি কখনও চিন্তাকালীন পাপ ড়ি-ভাঙ্গা ইংরাজী ae মনে হইতেছে বুঝিতে পারিতাম, তৎক্ষণাৎ তাহা মাতৃভাষায় অনুবাদ করিয়| বুঝিতাম,ভাবগুলি যথার্থ কি না?” --পারিবারিক প্রবন্ধ, ৪৩ পৃষা।



Leave a Comment