উপনিষদের আলো [সংস্করণ-২] | Upnishader Alo [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অবতরণিকা মুল উৎস উপনিষদে। রবীন্দ্রনাথ একবার আমাকে লিখেছিলেন, “উপনিষদের তত্ত্বকে আমি জীবনের সাধনা বলে গ্রহণ করেছি ।” প্রীঅরবিন্দ তার যোগসাধনার প্রথম সন্ধান পেয়েছেন ঈশা! উপনিষদে । উপনিষদে অধ্যাত্ম জীবনের এমন সার তত্ত্ব নিহিত আছে যা আজও ব্রম্মবিদ্যার অনুশীলনে আর ব্রহ্ধান্ভূতির তৎপরতায় উদ্বোধিত করে। সেখানে অধ্যাত্ম জীবনের চরম পরিণতি । পরবণ্তা যুগের সমস্ত ভারতীয় আদর্শগুলি উপনিষদে স্থত্রাকারে আছে। কি জ্ঞানবাদ, কি ভক্তিবাদ, কি অধ্যাত্মযোগ, উপনিষদে সব পথগুলির নির্দেশ দেখতে পাই। হিন্দুর সকল চিস্তাধারাই যেন উপনিষদের AN | তত্ত্ব-সগবেষণায় অনেক নতুন তথ্যের উদ্বোধন হলেও, সিদ্ধান্তের দৃষ্টি উপনিষদকে অতিক্রম করতে পারেনি। তার কারণ মানুষের দিব্য প্রেরণার ও চেতনার উন্মুক্ত গতি উপনিষদে যেমন প্রকাশ পেয়েছে, আর কেথাও তেমন পায়নি। অধ্যাত্ম কু. প্রবেশ পথ অতি wel সেখানে বিচার বিতর্কের চেয়ে আবশ্যক হচ্ছে অন্তঃ:বেদনার জাগরণ,-_অনুভূতির স্থম্ম্মতায়, বিজ্ঞানের দিব্য ছোতনায়। তত্ত্ব বিচার বুদ্ধিকে নিয়মিত করে, কিন্তু বিজ্ঞানের ধারা স্বচ্ছ না হলে মানুষ দিব্য জ্ঞানের অধিকারী হতে পারে A! উপনিষদের প্রত্যেকটি মন্ত্র প্রসাদগুণে ও wanes পূর্ণ-_এর শক্তি ও দীপ্তি মানুষকে মহিমময় সত্তার বোধে পূর্ণ করে। সরল ও সহজ কথায় এত গভীর তত্ত্বের সংবেদন আর কোথাও দেখি Cw? |



Leave a Comment