সম্পর্ক | Samparka

চওড়া চাতালটা পেরিয়ে একতলার ড্রইংরুমে ঢুকে ইন্দ্রনাথ সোজা চলে এলেন মাঝামাঝি জায়গায়। এখান থেকে কাঠের সিঁড়ি দোতলার দিকে উঠে গেছে। সকালে বোড়য়ে আসার পর কখনও নিচে বসেন না ইন্দ্রনাথ, সরাসরি দোতলার ড্রইংরুমে এসে একটা সোফায় শরীর এলিয়ে দেন। ঘণ্টাখানেক এখানে জিরিয়ে ঠান পাশে একটা বেডরুমে গিয়ে ভ্রমণের পোশাক পালটে বাথরুমে চলে যান। বারো মাস AGA ভেতর স্নানটা চুকিয়ে ফেলা তার বহুকালের অভ্যাস। অন্য দিনের মতো পুরু গদিওলা সিংহাসন টাইপের নির্দিষ্ট সোফায় এসে বসেন ইন্দ্রনাথ। সেটার পাশে একটা নিচু কাশ্মীরি টেবলে মর্নিং এডিশানের দু”খানা বাংলা আর দু'খানা ইংরেজি কাগজ পেপার ওয়েট চাপা দিয়ে রাখা আছে। আরেকটি টেবলে সবুজ এবং মেরুন রঙের দুটো টেলিফোন | CFI চার দেওয়ালে নাইনটিনথ আর টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরির সেরা ক'জন বাঙালির অয়েল পেন্টিং। সেই সঙ্গে রয়েছেন চন্দ্রভৃষণ এবং মুখার্জি বংশের অন্যান্য কৃতী পুরুষেরা। তা ছাড়া অনেকগুলো সুদৃশ্য কাচের আলমারি বোঝাই অজস্র বই | সাহিত্য অর্থনীতি ইতিহাস সমাজতন্তব ধর্ম-_এমনি নানা বিষয়ের জরুরি গ্রন্থগুলি পুরুষানুক্রমে এখানে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। সরকারি গ্রন্থালয় ছাড়া কলকাতার কোনো পরিবারের লাইব্রেরিতে এত বড় কালেকশান আর S| ইন্দ্রনাথ সবে সোফায় বসেছেন, বংশী প্রায় ছুটতে ছুটতে ট্রেতে চায়ের সরঞ্জাম এবং দু'রকমের নোনতা বিস্কুট সাজিয়ে চলে আসে। শী এ বাড়ির একজন কাজের লোক। মধ্যবয়সী, কালো, রোগাটে। পাতলা মুখ, সরু থুতনি, চুল SOTA পাকায় মেশানো | পরনে খাটো ধুতি আর ফতুয়ার ওপর মোটা চাদর। ইন্দ্রনাথের কখন কী দরকার, সব তার মুখস্থ। তিনি যতক্ষণ বাড়ি থাকেন, ছায়ার মতো সে সঙ্গে সঙ্গে ঘুরতে থাকে। একটা ফাঁকা সাইড টেবল ইন্দ্রনাথের সামনে টেনে এনে ট্ে্টা তার ওপর রাখতে রাখতে বংশী বলে, 'বিলেত [ATH ফোন এসেছেল।' তার বাড়ি দক্ষিণ চবিবশ পরগণায়। সেই কোন ছেলেবেলায় "মুখার্জি সদন*-এ চাকরি নিয়ে এসেছিল। খাস উত্তর কলকাতায় জীবন প্রায় কাবার করে এনেছে কিন্তু এই শহর তাকে বিশেষ বদলে দিতে পারেনি! সে হা করলেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার আ্যাকসেন্টটি অবিকল বেরিয়ে আসে। একটু অবাক হয়ে ইন্দ্রনাথ বলেন, 'সেই ভোরবেলাতেই তো অশোকের ফোন QA | তার সঙ্গে কথা বলে বেড়াতে গেলাম। GR তো তখন কাছেই falar!’ বংশী জো জোরে মাথা নাড়ে! বলে. “SR, বড়দাদাবাবু লয়, মেজদাদাবাঁবু। ১৮