বাংলা সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরী | Bangla Sahitye Pramath Chowdhury

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
} 7 ব্যক্তিলীবন ৩. দিল রূপের দীক্ষা : “কৃষ্ণনগরে পদার্পণ করামাত্র ইন্দ্রিয়গোচর পদার্থ সব আমার নাক, কান, চোখের ভিতর দ্বিয়ে ভিড় ক'রে Tacs AAA OT নানাবস্তর রূপ দেখলুম আর তাদের নামও শিখলুম। দার্শনিকেরা যাকে বলেন নামরূপের জগৎ সেই জগতের সঙ্গে আদান- প্রদানের কারবার আরম্ভ হল ।” তখনকার Bees পাড়াগী, অধে.ক শহর কৃষ্ণনগরে বাল্যকালেই নানা শ্রেণীর লোকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল-_ ঘুড়ি ওড়ানোর সূত্রে ধরেই সব জাতের ছেলেদের সঙ্গে তার পরিচয় ati বিচিত্র বস্তুচ্ঞানও কৃষ্ণনগরের জীবনেই তিনি are করেন। কৃষ্ণনগরই চৌধুরী মহাশয়ের সাংস্কৃতিক জীবনের ভুমিকা রচনা করে। পাগ্পুস্তক থেকে তিনি ভাষা! শেখেন নি, নানা শ্রেণীর লোকের মুখের ভাষা তার ভাষাশিক্ষার মূলে । তিনি বলেছেন s “আমি জন্মেছিলুম পল্মাপারের বাঙ্গাল, কিন্তু আমার মুখে ভাষা দিয়েছে কৃষ্ণনগর ”--বাক্চাতুরী ও রসিকতা সেকালের কৃষ্ণনগরের ভাষার প্রধান orf ছিল। তথাকথিত ধর্মবিষয়ক গৌঁড়ামিও সেখানে ছিল না। সাম্প্রদায়িক মতামত-মুক্ত উদার মনের পক্ষে পরিহাস-রসিকত৷ একটি আর্টের বিষয় হ'য়ে উঠেছিল। বৈদেশিক সাহিত্যের সঙ্গে তার. পরিচয় হয় অতি অল্প বয়সেই--বাড়ীতেই বৈদেশিক সাহিত্যের আবহাওয়া ছিল। পিতা ছিলেন হিন্দু কলেজের ছাত্র--ইংরাজী বইয়ের বিরাট এক লাইব্রেরী ছিল Sta প্রমথ চৌধুরীর বই awl ও বই কেনার স্বভাব সেখান থেকেই গড়ে ওঠে । তার ভাইয়ের! সকলেই ছিলেন কৃতবিদ্য । লাইত্রেরীর আবহাওয়ায় তিনি মানুষ হয়েছেন আর ইংরেজী নভেল পড়ার দীক্ষা পান সেজদা কুমুদনাথের কাছ থেকে | প্রমথ চৌধুরীর রূপজ্ঞানের দীক্ষাও হয়েছে কৃষ্ণনগর থেকে | কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল বাংলাদেশের অন্যতম সম্পদ্‌। কৃষ্ণনগরের আহলাদী পুতুল সম্পর্কে তিনি বলেছেন? “আমি তাদের হাতের চমৎকার আহলাদী পুতুল দেখেছি, যার দাম দুপয়স!।। ওর ভিতর



Leave a Comment