শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্পসংগ্রহ [খণ্ড-৩] | Shirshendu Mukhopadhyayer Galpasangraha [Vol. 3]

যে কথা বলছিলাম, যে তুল পেয়ে বসেছে আমাকে | বু মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করে, সারাক্ষণ বিড়বিড় করে কি বকে মা । চমকে উঠি। বিড়বিড় করি! হয়তে৷ করি। সারা দিন বড় কথা বলতে ইচ্ছে করে। মাথার মধ্যে ঠাস) সব পুরোনে দিনের কথা। শোনার লোক মেই। তাই বোধ হয় আকাশ বাতাসকে শোনাই। তোরা তো কাছে থেকেও GF বতুর চাকরি আর ইউনিয়ন, সারা দিনে কথা দূরে থাক, আমার face ভাল করে তাকায় at পর্যন্ত। আর মতু! সে আমাকে চেনেই al! সারা দিন নীল চিঠির মধ্যে ডুবে থাকে। কর্তা বলত, “তোমার ছুটো ঘোড়|, গাড়ি চলবে Sta!’ গাড়ি বলতে আমাকেই বোঝাতো, যেন আমার চলার ক্ষমত] নেই ছেলেরা না চালালে । কাছে তাকে পেলে এখন বলতাম-_ঘোড়া ছুটে কেমন ছ'মুখো ছিটকে গেল cH খাদের মুখে গাড়ি দাড়িয়ে আছে, একটু জোর বাতাস এলেই গড়িয়ে পড়বে। আর উঠবে না। মরতে অবশ্য আমার একটুও দুঃখ নেই। কিন্তু qy-wa কথা ভাবলে মরার ইচ্ছেটাই চলে যায়। SA দুজন দুরকমের পাগল। আবার ভাবি, ওদের জন্যই যদি বেঁচে থাকতে হয় তবে তো আরও বহুকাল বেঁচে থাকতে হবে। সে যে বড্ড একধেয়ে। আবার যদি মরে যাই তবে ওদ্বের দেখবে কে? বিশেষ করে মতুকে ! হয়তো ততদিনে Wa বউ এসে যাবে। কিংবা এমনও তো হতে পারে যে, AD ভাল হয়ে গেল আবার আগের মতো চাকরি-বাকরি করল! হতে পারে না কেন ! এরকম কি হয় না। সামনের “face একটু বারের পুজো cra আর প্রতি বিষ্যুৎ বারে একটা WT ছেলেকে ডেকে এনে পাঁচালী পড়াবো। নিজে কয়েক দিন পড়বার চেষ্টা করেছি। চোখে বড় জল এসে যায়। তিনটে মানসিক করা. আছে আমার মতুর জন্য । অনেক দ্বিন হয়ে গেল। মনের ভুলে একটা মানসিক ara রেখেছি ময়মনসিংহের কালীবাড়িতে। কালীর সোনার চোখ গড়ে দেবো। এখানে বসেই করেছি সেই মানসিক, এখন ভাবি ay ভাল হলে কী করে ওখানে পুজো পাঠাবো ? ওর] কি দেবে আমাকে যেতে | ABE কি ছাড়বে? fee বুঝি না, গেলে কি হয় ! ওসব তো আমাদেরই দেশ জায়গা ছিল। TW মতু দুজনেই, জন্মেছে ওখানে । কত যে বালাই তৈরী করছে AHR | THA বউ এসে মতুকে দেখবে--এইরকম একট! বিশ্বাস আঁকড়ে আছি t মরার সময় হলে--যদি TE ততদিনে বিয়ে না করে-_ Se