শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে | Shreeramakrishner Sannidhye

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৮ শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে 00510011-টা (আধ্যাত্মিক স্থান) ইঙ্গিতে দেখিয়ে দিলেন” © ঠাকুর লোকমান্যিকে এমন ঝাঁটা মেরেছিলেন যে, সে বেচারা আর কোনদিন তাঁর কাছে CHATS সাহস পায়নি। ক্যাথলিকদের মধ্যে আছে যে, জীবদ্দশায় তিনটা miracle দেখাতে পারলে সে ভবিষ্যতে saint পদবী পেতে পারবে; আরও অনেক condition আছে। আর আধুনিক যুগে তিনটা fanatic ভক্ত গুরুকে অবতার খাড়া করে দিতে পারে। ঠাকুর মজা করে বলতেন, “পান চিবুতে চিবুতে হাতে ছড়ি নিয়ে যদি বলে আপনি অবতার, তবে আমি কৃতার্থ হয়ে গেলাম।”” ২২ Sea জহর চেনে। অবতারকে চিনতে হলে সাধনভজন চাই। ভক্তির আতিশয্যে ভক্তরা তাকে অবতার বলে ঘোষণা করলে ঠাকুর বলতেন, “কেউ ডাক্তারি করে (রাম দত্ত), কেউ থিয়েটারে ম্যানেজারি করে (গিরিশ ঘোষ), এখানে এসে অবতার বল্লেন। ওরা মনে করে অবতার বলে আমাকে খুব বাঁড়ালে, বড় কল্লে। কিন্তু ওরা অবতার কাকে বলে, তার বোঝে কি?” ২ অবতারকে চেনা মুস্কিল। কারণ তিনি “যোগমায়াসমাবৃতঃ”, “মানুষীং তনুমাশ্রিতম্‌*। তিনি 'অচিন গাছ”, ছদ্মবেশী রাজা” “চৌদ্দ পোয়ার ভেতর অনন্ত SPAT! 'না ধরা দিলে কি পারিস ধরিতে'-_তাই তাকে ধরা মুস্কিল। উপনিষৎ বলেন, “যমেবৈষ বৃণুতে তেন লভ্যঃ”। শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন যে, অন্ধকার রাতে টর্চ লাইট হাতে সার্জেন্ট ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ যদি সার্জেণ্ট সাহেবকে দেখতে চায়, তাকে অনুরোধ করতে ACA | তিনি দয়া করে তার আলো যদি তার মুখে ফেলেন তবেই তাঁকে দেখা যাবে। আমরা সূর্যের আলোয় যেমন সূর্যকে দর্শন করি, তেমনি ভগবংৎকৃপায় ভগবৎ দুর্শন হয়। শ্রীরামকৃষ্ণ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভিন্ন রূপে দর্শন দিয়েছেন। এই দর্শনগুলির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, তিনি ছিলেন বহুরূপী ঈশ্বর। বিরাটপুরুষ রূপে শ্রীরামকৃষ্ণ “গদাধরের (ঠাকুরের) বয়ঃক্রম তখন সাত আট মাস হইবে। শ্রীমতী চন্দ্রা একদিন ANS তাহাকে স্তন্যদানে fret ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে পুত্রকে নির্রিত দেখিয়া মশক- শন হইতে রক্ষা করিবার জন্য তিনি তাহাকে মশারির মধ্যে শয়ন করাইলেন; অনন্তর ঘরের বাহিরে যাইয়া গৃহকর্মে মনোনিবেশ করিলেন। কিছুকাল গত হইলে প্রয়োজনবশত এ ঘরে সহসা প্রবেশ করিয়া তিনি দেখিলেন, মশারির মধ্যে পুত্র নাই, তৎস্থলে এক mien অপরিচিত পুরুষ মশারি জুড়িয়া শয়ন করিয়া রহিয়াছে। যিষম আশঙ্কায় চন্দ্র চিৎকার করিয়া উঠিলেন এবং দ্রুতপদে গৃহের বাহিরে আসিয়া স্বামীকে আহ্বান করিতে লাগিলেন। তিনি উপস্থিত হইলে তাঁহাকে এঁ কথা বলিতে বলিতে উভয়ে পুনরায় গৃহে প্রবেশপূর্বক দেখিলেন কেহ কোথাও নাই, বালক যেমন নিদ্রা যাইতেছিল তেমনি নিদ্রা ২১ শ্রীম কথা, ২/৬২-৩; ১/৪৪ ২২ শ্রীম কথা, ২/৬২ ২৩ শ্রীরামকৃষ্ণ-জীবন ও সাধনা, পৃঃ ৪২৪



Leave a Comment