স্বামী সারদানন্দের স্মৃতিকথা | Swami Saradanander Smritikatha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১০ স্বামী সারদানন্দের স্মৃতিকথা বলিয়া মনে হয় না।”” স্বামী বিবেকানন্দের উপর তাহার কি অদ্ভুত বিশ্বাস ও ভালবাসা ছিল! দেহত্যাগের সময় সমীপাগত জানিয়া শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব কয়েকজন সর্বত্যাগী যুবক শিষ্যকে তাহার ভবিষ্যৎ কার্যের জন্য প্রস্তুত করিতে লাগিলেন। তিনি যখন দক্ষিণেশ্বরে দুরারোগ্য গলরোগে আক্রাম্ত হইলেন তখন এই সকল যুবক অন্য গৃহস্থ ভক্তগণের সহিত মিলিত হইয়া ঠাকুরের সেবা ও Sanaa ভার গ্রহণ করিলেন। রোগশয্যায় শায়িত হইয়াও ঠাকুর তাহার ভবিষ্যৎ কর্মিগণের চরিত্র গঠন করিতে লাগিলেন। তাহাদিগকে অপার্থিব ভালবাসা-সূত্রে afew করিলেন। চিকিৎসার জন্য তাহাকে কাশীপুর বাগানে স্থানাত্তরিত করার পর নরেন্দ্র, রাখাল, কালী, শরৎ, শশী প্রভৃতি যুবকগণ বাড়ি ঘর পরিত্যাগ করিয়া গুরুসেবায় সম্পূর্ণরূপে আত্ম বিনিয়োগ করিলেন। এই সময় যে দ্বাদশজন শিষ্য ঠাকুরের নিকট সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষিত হন শরৎ মহারাজ তাহাদের মধ্যে অন্যতম। ক্রমে দীপ নির্বাণ হইল। ঠাকুর ভক্তগণকে কীদাইয়া ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে স্থূল লোকচক্ষুর অস্তরালে গমন করিলেন। তাহার অন্তর্ধানে শিষ্যগণ নিজেদের পিতৃহীন অনাথ শিশুর ন্যায় অসহায় বোধ করিলেন। এমন কি তাহার যুবক শিষ্যগণের মধ্যেও অনেকে গৃহে প্রত্যাবর্তন করিয়া স্বীয় পাঠাদি কার্যে পুনরায় মনোনিবেশ করিলেন। শরৎ মহারাজ সেই সময় কলকাতা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়ন করিতেন। বীর নরেন্দ্রনাথের অনুপ্রেরণায় যুবকগণ আবার গৃহত্যাগ করিয়া বরাহনগর মঠে সমবেত হইলেন। তাহার তেজোময় বাক্য উৎসাহিত হইয়া “আত্মনঃ মাক্ষার্থং জগন্ধিতায় bo” জীবন উৎসর্গ করিতে যুবকগণ পুনরায় বদ্ধপরিকর হইলেন। বরাহনগর মে যে তপস্যার ধারা প্রবাহিত হইয়াছিল জগতের আধ্যাত্মিক ইতিহাসে তাহার তুলনা দুর্লভ। যুবকগণ আহার নিদ্রা পরিত্যাগ করিয়া ধ্যান- জপ ও শাস্ত্রাদি পাঠে মনোনিবেশ করিলেন, সামান্য আহারই জুটিত; আবার কোন দিন তাহাও জুটিত না। কোন দিন কেবল মাত্র ভাতের জোগাড় হইত, অন্য কোনও ব্যঞ্জন হইত না। আর যেদিন কোন আহার্যই জুটিত না সেদিন



Leave a Comment