বেগম নাজমা ফ্রাংকাইন | Begam Nazma Frankein

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ফাদার হেসে বলত, রেগোনা খোকা, আমি তোমার মাকে আমতে লিখছি। তিনি MAS হয়ত এসে যাবেন। বয়স যখন ছয় তখন এসেছিলাম এ মিশনে । তারপর পাঁচটা বছর কেটে গেছে, একবারের জন্যও মা আসেনি। মায়ের চেহারাটাও যেন ভুলে গেছি। পাইন গাছতলায় বসে বসে মায়ের চেহারাটা ভাবতে চেষ্টা করতাম। কিন্তু সবই Sq ভেইন্‌ ৷ মায়ের চেহারাটা মনেই পড়ত না। কেমন ধাধা VR হত। আমি একাই বসে থাকতুম মাঠের cata সবাই যখন হৈ-হৈ করে খেলাধূলা করত, আমি তখন মাটিতে দাগ কেটে খেলার ছক্‌ তৈরী করতাম। সে ছকের হিজি-বিজি-ই বোধহয় আমার জীবনের হিজি-বিজির za | আমার ভাবাস্তর লক্ষ্য করত ফাদার থমাস্‌। মাঝে মাঝে ডেকে নিয়ে যেত তার নিজের ঘরে। দেশ-বিদেশের গল্প বলত । বলত, ‘we সেবার দায়িত্ব নিয়ে আমরা! ছেড়ে এসেছি পিতা-মাতা wears | কিছু ভাল কাজ করতে হলে অনেক ত্যাগের প্রয়োজন wl’ কখনও কখনও খেলবার সরঞ্জাম হাতে তুলে দিয়ে মাঠে নামিয়ে দিত । সঙ্গীদের ATA খেলায় মেতে ভুলে যেতুম আমার বেদনা। সেদিন না বুঝলেও আজ বুঝি, সত্যই ফাদার থমাস আমাকে GHA করত। আমার হৃয়- বেদনাকে সে বোধহয় শ্রদ্ধা FIT | বিদ্যালয়ের অফিসে দাড়িয়ে থাকতুম মাঝে মাঝে । মিশনের ছেলেদের চিঠি আসত বাবা-মায়ের কাছ থেকে। চিঠির প্রত্যাশায় তার] সুরত ফিরত ৷ চিঠি এলে আনন্দে উৎফুল্ল হত তারা। আমার কোন চিঠি আসত A! তবুও মাঝে মাঝে অফিসে যেতুম, যদি বেড়ালের কপালে face ছেঁড়ে,_এই প্রত্যাশায় ! একদিন ডাক freq এসে কেরানীবাবুকে মনিঅর্ডার ফরম দিল। ফরম পড়ে কেরানীবাবু বললেন, afer Tre] এসেছে | আমার টাকা! বিস্মিতভাবে জিজ্ঞাসা করলাম। তোমার নামে নয়, তোমার জন্য। পাঠিয়েছেন তোমার মা। এই দেখ, বলেই ফরমটা আমার হাতে তুলে দিল। পাঁচ ছয় বছরে বেশ কিছু লেখাপড়! শিখেছি, ফরমটা গর্গর্‌ করে পড়ে ফেললাম। পেলুম মায়ের নাম ও ঠিকানা। চুপি চুপি খাতার পেছনে লিখে নিলুম। [১২ ]



Leave a Comment