ক্ষয় | Kshay

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
জনকে ধরে নিয়ে যায় | কিন্তু সেটা বড় কথা নয়। তাপসী মরে যাওয়ার পর রুকুর কয়েকদিন কাটল মানসিক অন্ধকারে । ভিতরে একটা দিশেহারা নিরালম্ব ভাব । সেটা কি গভীর শোক ? নাকি সেই গুলির ক্ষত দেখে বিশ্ময়মিশ্রিত ভয় ? আজও ভাবলে হাসি পায়, তাপসীর মৃত্যুর পর বেশ কিছুদিন সে সন্ধ্যের পর একা থাকতে ভয় পেত । মনে হত, তাপসীর ভূত এসে দেখা দেবে । তবে কি করে সে বলবে যে তাপসীর প্রতি তার ভালবাসা ছিল ? মৃত্যুর ৰেশ কিছুদিন বাদে তাপসীর মা এসে একদিন মাসীর কাছে বলেছিল, আর তো কিছু মনে হয় না, শুধু ভাবি মেয়েটা মরার সময়ে কত A জানি ব্যথা পাচ্ছিল, হয়তে৷ মা বলে ডেকেছিল কতবার | ওই শেষ সময়টায় ওর কাছে তো কেউ ছিল না, কে জানে তখন coal পেয়েছিল কি না, খিদে পেয়েছিল কি না! শুনে ভারি ছিছিক্কার বেজেছিল রুকুর মনে ৷ কই, সে তে! কখনো মায়ের মতো তাপসীর ম্ত্যুযন্ত্রণার কথা ভাবেনি ! ভাবেনি তো, শেষ সময়ে ওর জলতেষ্টা পেয়েছিল কি না! পিচের রাস্তায় এক ভিড় লোকের মধ্যে, জলঙ্গ্যান্ত দিনের আলোয় নিজের রক্তে মেখে এক বুক ক্ষতের যন্ত্রণায় হাঁফাতে হাঁফাতে মৃত্যুর মধ্যে একা ডুবে যেতে কেমন লেগেছিল তাপসীর, তা কখনো অনুভব করার চেষ্টাও করেনি রুকু ৷ না করলে ভালবাসা কি করে হল ? বার বার ঘটনাটা ভাজে ভাজে খুলে ভেবে দেখেছে রুকু । শআমজও সন্দেহ রয়ে গেছে, তাপসীকে সে ভালবেসেছিল feal | মন বলে, বেসেছিল | যুক্তি বলে, all তাপসী যদি আজও বেঁচে থাকত তবে কী হত? নিশ্চিত বলা যায়, রুকুর সঙ্গে তার বিয়ে হত না। ১২



Leave a Comment