তিন প্রহর | Tin Prohar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
জমিদারীর তিনি আর কেউ নন। গুরুদেব সব নিজের নামে পত্তনি করে নিয়েছেন। নবাব সরকারে ELvI_ করে নিজের সম্পত্তি ফিরে পাওয়া জমিদারের পক্ষে সম্ভব ছিল কিনা জানি ai, কিন্তু প্রবৃত্তি ছিল না। রাজপুতের ছুই চোখে আগুন জ্বলে উঠল, কিন্তু একবারের জন্যেই | তারপর গৃহ-দেবতার মন্দিরে সাষ্টাঙ্গে প্রণিপাত করে যে নৌকোয় এসেছিলেন সেই নৌকোতেই আবার ভেসে চলে গেলেন। FATT! গুরুর চরণে সব নিবেদন করে কৃতার্থ হয়েই চলে গেলেন ! কিন্তু কোথায় গেলেন-_-কেউ তার খবর রাখে না। তারপর থেকেই আমরা জমিদার । ডাকিনী-যোগিনী মন্ত্রবলে আনতে পারি আর না-ই পারি, বাঈজী atfacafe ; কারণ-বারির পাত্র না জোটে, মদের বোতলের অভাব ঘটেনি। আমরাও প্রেতসিদ্ধি লাভ করেছিলুম। few শেষ পর্যন্ত সেই প্রেত আমাদের ঘাড় ASH রক্ত শুষে খেয়েছে--প্রভেদ বলতে এই | অন্যায় করেছি? কিছুমাত্রও নয়। পাপ দিয়ে যার পত্তনি হয়েছিল, পাপের ঘা দিয়েই তার শেকড়সুম্ধ উপড়ে দিয়েছি। আমিই সেই কৃতী বংশধর-_যে পূর্বপুরুষের কৃতস্মতার চরম প্রায়শ্চিত্ত করে গেল। আমি জানি-_রাত বাড়লে কী হয়। তখন এই শষ্য বাড়িটায় লাতপুরুষ, দশ পুরুষ, চৌদ্দ পুরুষের প্রেতাত্মারা এসে হানা দেয় দলে দলে। ভাঙ্গা ইট-কাঠের স্বূপের ওপর দিয়ে চলে বেড়ায় তারা, তাদের কঙ্কাল শরীরের হাড়গুলে নিরুপায় ক্রোধে মড়মড় করে আওয়াজ তোলে, তাদের Atal করোটির চক্ষুহীন কোটর থেকে আগুনের আলোর মতো অভিশাপ ঠিকরে পড়ে আমার দিকে-_ তাদের দাতে দাতে Suse করে আওয়াজ ওঠে। তখন এই বাড়িতে বাতাসের নিঃশ্বাস পড়ে না, রাতচরা! প্যাচাগুলো হঠাৎ ৫



Leave a Comment