বিকেলের মৃত্যু | Bikeler Mrittu

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বাড়ির লোকেরা শুধু টাকা চেনে | শুধু টাকা | তার বারারও ওই এক নেশা | দিন রাত টাকা রোজগার করে যাচ্ছে | তারও মস্ত ব্যবসা কেমিক্যালসের । মা পর্যন্ত বসে নেই৷ মেয়েদের জন্য একটা এক্সক্লুসিভ ইংরিজি ম্যাগাজিন বের করেছে | তা-ই নিয়ে ঘোরতর ব্যস্ত । এদের কারও সঙ্গেই সম্পর্ক রচনা করে তুলতে পারেনি লীনা | ছেলেবেলা থেকেই সে এই ব্যস্ত মা বাবার কাছে অবহেলিত | নিজের মনে সে বড় হয়েছে | GU মধ্যে থেকেও যে কতখানি শূন্যতা একজনকে ঘিরে থাকতে পারে তা লীনার চেয়ে বেশি আব কে জানে ? এমন কি ওই যে ভ্যাগাবগু দোলন, সেও এই শূন্যতাকে ভরে দিতে পারে না। গরিবের ছেলে বলে নানা কমপ্লেকস আছে | হয়তো মনে মনে লীনাকে একটু ভয়ও পায় | বেচারা ! লীনা চাকরি নিয়েছে টাকার প্রয়োজনে তো AT | এই আট ঘরের ফাঁকা বাড়ি তাকে হানাবাড়ির মতো তাড়া করে দিন রাত | সকাল-সঙন্ধে মা বাবার সঙ্গে দেখা হয় দেখা না হওয়াব মতোই | দুজনেই নিজের নিজের চিন্তায় আত্মমগ্ন, বিরক্ত, CHAS | সামান্য কিছু কথাবার্তা হয় ভদ্রতাবশে | যে যার নিজস্ব বলয়ের মধ্যে বাস করে | লীনা ইচ্ছে করলে বাবার কোম্পানিতে, দাদার কনসার্নে বা মায়ের ম্যাগাজিনে চাকরি করতে পারত | ইচ্ছে করেই করেনি | গোমড়ামুখো মা-বাবার সংশ্রবের চেয়ে অচেনা বস বরং ভাল | কপাল খারাপ। লীনা এমন একজনকে বস হিসেবে পেল, যে শুধু গোমড়ামুখোই নয়, পাগলও | ওয়ার্ডরোব খুলে লীনা ড্রেস পছন্দ করছিল | দেশী. বিদেশী were পোশাক তার | সে অবশ্য আজকাল তাঁতের শাড়িই বেশি পছন্দ করে | বেছে গুছে আজ সে জিনস আর কামিজই বেশি পছন্দ করল। সাজতে লীনার বিশেষ সময় লাগে না | মোটামুটি সুন্দরী সে । রূপটান সে মোটেই ব্যবহার করে না | মুখে একটু ঘাম-তেল ভাব থাকলে তার মুখশ্রী ভাল ফোটে, এটা সে জানে | পায়ে একজোড়া রবার সোলের সোয়েডের জুতো পরে নিল | গয়না সে কখনোই পরে না, ঘড়ি পরে শুধু । হাতে পনেরো মিনিট সময় নিয়ে বেরিয়ে পড়বে লীনা ! ওল্ড বালিগঞ্জ থেকে হেঁটে যেতে দশ মিনিটের মতো লাগবে । সে একটু আস্তে হাঁটবে বরং | ব্যাগ থেকে একটা চুয়িংগাম বের করে মুখে পুরে নিল লীনা । কাঁধে ব্যাগ | বেরোবার জন্য ঘড়িটা দেখে নিল | আরও দু মিনিট । বুকটা কি একটু কাঁপছে ? দুর্বলতা বা ASE দূর করতে সবচেয়ে ভাল উপায় হল একটু ব্রিদিং ১৬



Leave a Comment