এভারেস্ট মানুষ তেনজিং | Everest Manus Tenzing

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আদৌ ঠিক নয়। খুব লম্বা হিলারীর পাশে পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি মাপের তেনজিংকে ছোট দেখাতে পারে কিন্তু আসলে তাঁর দেহ সৌষ্টব বেশ OTT তাঁর ভেতরটাতেও কোন ক্ষুদ্রতা নেই, নেই কোনও প্রাদেশিকতা-_যেটা গ্রাম্য পাহাড়ীদের সম্পর্কে কারও ভেবে ফেলা অসম্ভব নয়। সমস্ত শেরপাদের সম্পর্কেই কমবেশি একথা বলা চলে। এই অশিক্ষিত শেরপা জাতি (আজও তাদের নিজস্ব কোনও বর্ণমালা নেই), কঠিন পর্বতে ভারী মাল বইবার জন্যে এবং পর্বতারোহণের সহজাত দক্ষতার জন্যে বর্িবিশ্বে যথেষ্ট সম্মান লাভ করেছে। আর তেনজিং হল শেরপাদের মধ্যে সর্বশেষ্ঠ গুণের অধিকারী। তেনজিং-এর সঙ্গে কারও কোনও বিরূপ সম্পর্কের কথা ভাবাই যায় না। সুঠাম দেহের অধিকারী এই মিষ্টি স্বভাবের মানুষটির সদা হাস্যময় মুখের চঞ্চল চোখ দুটি যেন ছেলেমানুযীতে war! তিনি কথা বলেন চটপট আর পান করতে ভালবাসেন। তা সে পানীয় চা-ই হোক অথবা ছাং! স্বভাবটি ঠিক শাম্পেনের মত সদাই চঞ্চল। মানুষকে আকর্ষণ করার এক বিশেষ গুণ আছে তাঁর মধ্যে এ ছাড়া বহু বছর সাহেবদের সঙ্গে এবং দেশীয় মানুযজনের সঙ্গে পর্বতারোহণের জন্যে বেশ কয়েকটা ভাযা তিনি আয়ত্ত করেছেন, সভ্য জগতের আদ্র কায়দাও রপ্ত BAA | তাঁর ONCE ছিল মনের মত মানুষজনের সঙ্গে মেলামেশা করা আর একটু ভাল (খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকা। পর্বতারোহণ সংক্রান্ত যে কোনও নতুন কৌশল শেখার ব্যাপারে তাঁর বালকের মত কৌতূহল ছিল স্মভাবভাত। কেউ যদি HB করে তবে হয়ত তেনজিং-এর অনেক গুণাবলী AB করতে পারবে কিন্তু পর্বতারোহণে তাঁর যে ARGS দক্ষতা তা স্বতস্ফর্ত, সকল রকম কৃত্রিমতা বর্জিত এবং তা তাঁর একান্ত নিজস্ব। এই PTT শত চেষ্টাতেও আয়ত্ত করা যাবে না। এভারেস্ট জয় করে তিনি এমন এক কীর্তি স্থাপন করলেন, এমন এক আকাশ (ছোঁয়া সম্মানের অধিকারী হলেন যা যে কোনও মানুষের মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে। সেই মানুষ যদি নিজেকে অলৌকিক শক্তিধর ভাবতে শুরু করে তাহলেও কিছু মনে করার নেই। এমন সাফল্য মানুযের নিজস্ব সত্তা গ্রাস কার নেবার পক্ষে ANB অথচ তেনজিং ঠিক আগের মতই আছেন, তাঁর ভদ্রতা, বিনয় তাঁর মর্যাদাবোধ এতটুকু বদলায় নি। তিনি শুধু একজন পর্বতারোহী হয়েই জন্মগ্রহণ করেননি তিনি একজন সত্যিকারের Wye | দার্জিলিং-এ তাঁর বাড়িটি প্রাণসম্পদে wae সেখানে একছত্র কত্রী তাঁর প্রাণচঞ্চল স্ত্রী SNe Ay | সকল বিষয়ে তাঁর স্মচ্ছ SPE চোখ, বালিকা সুলভ হাসিটি সমস্ত বাড়িটা ভরিয়ে রেখেছে। দুই মেয়ে, দুটি SN, একগাদা পিসত্তো, মামাতো ভাইবোন, নিজের বোনেরা, শালা, ভায়ের শালারা কে নেই সে বাড়িতে। তদুপরি রয়েছে নানা দেশের নানরকমের দর্শনার্থীর ভিড়--যেন মেলা বসে আছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এরই ফাঁকে একগাদা কুকুর ছানা ঘুর ঘুর করছে বাড়ির যত্র তত্র, 'কেউ বাধা দেয় না তাদের। যেদিকে তাকাও শুধু বই আর বই স্তপীকৃত হয়ে আছে। এছাড়া রয়েছে ফটো, সৃভেনীর আর নানাদেশের হরেক রকম উপহার সামগ্রী। বাড়ির দোতলায় একটা প্রার্থনা ঘর আছে। সেখান থেকে সদাই প্রার্থনা DE ঘোরাবার MEMS ভেসে আসছে, তাঁরই এক শ্যালক সম্প্রতি লামা হয়েছেন এবং তিনিই এই প্রার্থনা ঘরের দায়িত্ব নিয়েছেন। বসার ঘরে চায়ের এক এলাহী বন্দোবস্ত, যখনই বল চা প্রস্তুত ৷ অবশ্য এসব কিছুরই মধ্যমণি হলেন তেনভিং নিজে প্রত্যেকের সঙ্গেই তাঁর ১৪ এভারেস্ট মানুষ তেনজিং



Leave a Comment