স্বামী বিবেকানন্দের পরিব্রাজক | Swami Vivekanander Paribrajak

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৮ স্বামী বিবেকানন্দের পরিব্রাজক তোলা, জীব-সেবাই তার কাছে ছিল শিবসেবার প্রতীক | ভারতবর্ধের ইতিহাসে বিবেকানন্দের মত সঙ্ল্যাসীর বিকল্প নেই । ॥ ২ | বিবেকানন্দের আবির্ভাবের পশ্চাত-পট ও বিবেকানন্দের জীবন- দর্শনের মোটামুটে আভাস পাওয়া গেলেও বিবেকানন্দের মানস- গঠনে সমকালীন ACSA এবং তা' স্বীকরণের পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত হওয়া প্রয়োজন ৷ কারণ, Sta প্রাথমিক পরিচয় ধর্মবেত্তা সম্্যাসী। চিরাচরিত ধর্মচিন্তা! ও ধর্মাচরণ তার উপলব্ধির বিশিষ্টতায় কি ভাবে য়লপানস্তরিত হয়েছে তা' জানতে গেলে তার দৃষ্টিভঙ্গীর স্বরূপ-সন্ধান ও সমকালীন ধর্মান্দোলনের পর্ধালোচনা প্রয়োজন | রামমোহনের আবির্ভাবে হিন্দু ধর্ম ও দর্শনের যুক্তিনির্ভর বিশ্লেষণমুখী আলোচনার স্বত্রপাত হয় এবং এই ধারা! দেবেন্দ্রনাথ অক্ষয় দত্ত পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে; এমন কি কেশব সেনের ধর্মার্শের প্রথম পর্ব ছিল জ্ঞান-মাগী, পরবর্তাকালে ভক্তি- মার্গের আতিশয্য লক্ষ্য করা যায়। দেবেন্দ্রনাথও যুক্তিনিষ্ঠ ছিলেন, কিন্তু রামমোহনের মত কঠোর যুক্তিবাদী নন। তার জীবনে ভক্তির ঝোক ছিল বরাবরই। রামমোহনের ধর্মান্দোলনের মূলে ছিল হিন্দু ধর্মের বহু দেব-দেবীতে বিশ্বাস ও তাদের প্রতিমা পুজা! করার অসারতা প্রতিপন্ন করে নিরাকার Seat উপাসনাকে ay ধর্ম বলে স্বীকৃতি জানানো । এই উদ্দেশ্যে তিনি ঈশ, কেন, ক প্রভৃতি উপনিষদ প্রকাশ করা এবং বেদাস্তের ভাষ্য রচনায় আত্মনিয়োগ করেন । গ্রন্থ রচন৷ ছাড়া ব্রহ্ম সম্পর্কে আলোচনার জন্য ১৮১৫ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম 'আত্মীয় সভা' স্থাপন করেন এবং অবশেষে “ব্রহ্ম সভা' স্থাপন করেন। রামমোহনের মধ্যে বিশিষ্ট কোন ধর্মসম্প্রদায় wea অভিপ্রায় ছিল না। তার এই সভায় হিন্দু,



Leave a Comment