শিশিরকুমার ও বাংলা থিয়েটার | Shishirkumar O Bangla Theatre

তেরো অর্থবহ সাবলীলতায়, স্বরের আরোহণ-অবরোহণমূলক কম্পনে, সমগ্র দেহ- ভঙ্জিমার প্রাণরংস্যের সমুদ্রোচ্ছ্বাস উদ্বেলিত হয়ে উঠত, তিনি আগামী যুগের বাঙালির মনের এক কোনে অস্পষ্ট খথ্যাতি-কুহেলিকার মত লগ্ন হয়ে থাকবেন; তার প্রাণপ্রাচুর্যের কোন স্পন্দন তাদের অন্তরে জাগবে না। এত বড় প্রতিভা, স্ষ্টিশক্তির এমন অপরূপ বিচিত্র বিকাশ, শত ব্যক্তিত্বের অস্তর- ACT প্রবেশ ও তাকে অনবদ্যভাবে প্রকাশ করার এই আশ্চর্য ক্ষমতা পৃথিবীতে কোন চিহ্ন রেখে যাবে না। এর চেয়ে শোচনীয় অপচয়ের আর কি দৃষ্টান্ত হতে পারে? অবস্তা বর্তমান গ্রন্থে শ্রীযুক্ত বাগচি নাট্যাচার্য সম্বন্ধে সমস্ত জ্ঞাতব্য তথ্য সংগ্রহ করে, তার when, আদর্শনিষ্ঠ, কলাবিদ্যায় উৎসগীকৃত জীবনমহিমার পরিচয় দিয়ে ও তার অভিনয়দক্ষতার সুষ্ঠু বিশ্লষণ- meta তার লোকোত্তর প্রতিভার যতটুকু ধরে রাখা যায় সে বিষয়ে যথা সম্ভব চেষ্টার wie করেন নি । তথাপি মনে হয় নটের জীবন দরপণের প্রতি- বিশ্বের ন্যায় ; দর্পণ কালের হাতে খণ্ড হলে এর প্রতিফলিত ছায়াও Gata করে। তাই আমাদের প্রাচীন কবিরা জীবনের ক্ষণভঙ্গুরত্ব প্রকাশ করতে অভিনয়ের স্বল্পস্থায়ী ছদ্মবেশধারণের উপমা দিয়েছেন। জীবন স্বভাবতই পদ্ম পত্রে জলের ন্যায় অস্থির; তার উপর নটের জাঁবন আকম্মিকতার বায়ু- তাড়িত হয়ে এই অস্থায়িত্বকে আরও তীব্র, আরও মর্মাস্তিকভাবে প্রকটিত করেছে। শিশিরকুমারের নট-প্রতিভ! ও নাটাপ্রয়োগদক্ষতার যে বিশ্লেষণ ও উদাহরণ বাগচি মহাশয়ের গ্রন্থে দেওয়া হয়েছে তারপর আর এ বিষয়ে অধিক আলোচনা নিশ্রয়োজন। শিশিরের অভিনয় ছিল চরিত্রের wy যথাযথ রূপায়ণ নয়; তাদের প্রাণশিখার নিগুঢ় দীপ্তি, অস্তর-রংস্তের গুঢতম স্পন্দন, aig অসংজ্ঞান অভিপ্রায় ভার অভিনয়ে এমন নির্পরি'তভাবে ফুটে উঠত মে arma বিশ্মিত, মুগ্ধ, রেমাথ্িত হয় ঢেতাম। -RAR- যবনিকার অস্তরালে লতার যে গোপন রহস্য প্রচ্ছন্ন পাকে, আমর] যেন ₹ঠ[ৎ সেই প্রাণনিকেতনের Bagg নীত হয়ে এই eT By অংশীদার হয়ে যেতাম । হ্ক্টিলীলার we দেন আমাদের সামনে রূপ নিয়ে অপরূপ ছন্দে