কবিগুরুর রক্তকরবী | Kabigurur Raktakarabi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১০ কবিগুরুর রক্তকরবী বুদ্ধিবত্তিই একাধিপত্য বিস্তার করিলে বোধটি আচ্ছন্ন হইয়া যায় এবং রসাস্বাদনে fay ঘটে ৷ ' রসিক মনের এই বিপযয় সম্বন্ধে কবিগুরু সচেতন হইয়াছিলেন বলিয়াই শ্রোতাদের নিকট নাট্য-রসোপলন্ধির একটি ইঙ্গিত দিয়াছেন । কবি বলিয়াছেন--"রক্তকরবীর সমস্ত পালাটি 'নন্দিনী' বলে একটি মানবীর ছবি। চারিদিকের পীড়নের ভিতর দিয়ে তার আত্ম- প্রকাশ । সেই ছবির দিকেই যদি সম্পূর্ণ ক'রে তাকিয়ে দেখেন তাহলে হয়তো কিছু রস পেতে পারেন । নয়তো বরক্তকরবীর পাপড়ির আড়ালে অর্থ খুজতে গিয়ে যদি অনর্থ ঘটে তাহলে তার দায় কবির নয়।” এই নন্দিনীকে মানবী fan) গ্রহণ করিতে অনেকেই আপত্তি করেন। নন্দিনীকে তত্ব-ম্বরূপ aan গণ্য করিয়৷ অনেকে নাটকটির ব্যাখ্যা করিতে Bia! অথচ ইতিপূর্বে নাটকের ভাববস্থ প্রসঙ্গে যে কথা উল্লেখ করিয়াছি, তাহাতে নন্দিনীকে রূপক বা প্রতীক বলিয়া গণ্য করা যায় না। নাটকের শিল্প-ভঙ্গীর দিক হইতে ও অনেকে নন্দিনীকে এবং অন্যান্য চরিত্রগুলিকে প্রতীকারে গ্রহণ করিয়া থাকেন । কবিগুরু তাহার নাটককে রূপক নাটকের পায়ে ফেলিতে চাহেন না, অথচ “রক্তকরবী' নাটককে একখানি সানারণ নাটকও বলা চলে না। নাট্যবস্থর বিশিষ্টতার জন্যই নাটকের শিল্প-ভঙ্গীতে বিশিষ্টতা আসে। afte কবিগুরু মানবী বলিয়। দাবী করিতেছেন, অথচ নাটকটি একটি সাধারণ নাটক হইয়া উঠিতেছে না, নাটকের শিল্প- ভঙ্গীর বিচারে যথাস্থানে এই বিরোপটির আলোচন! করা যাইবে | কিন্তু শ্রেণী হিসাবে নাটকটির পরিচয় বাহাই হউক না কেন, ইহার ভাববস্থ যে মানব জীবনের sacs প্রকাশ করিতেছে, রবীন্দ্রনাথ তাহা দৃঢ়তার সহিত ঘোষণা করিয়াছেন। এ সপনন্ধে তিনি বলিয়াছেন, “নারীর ভিতর দিয়ে বিচিত্র রসময় প্রাণের প্রবর্তন| যদি পুরুষের উদ্যমের মধ্যে সঞ্চারিত হবার বাধা পায়, তা হলেই তার স্ষ্টিতে যন্ত্রের প্রাধান্য ঘটে। তখন মান্য আপনার we waa আঘাতে কেবলি পীড়া দেয়, পীড়িত হয়। এই Stadt আমার বরক্তকরবী নাটকের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। যক্ষপুরে পুরুষের প্রবল শক্তি মাটির তলা থেকে সোনার সম্পদ্‌ ছিন্ন করে৷ আনছে। নিষুঁর সংগ্রহের Bq চেষ্টার তাড়নায় প্রাণের মাধুর সেখান থেকে নির্বাসিত । সেখানে জটিলতার জালে আপনাকে, আপনি জড়িত করে' মানুষ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ।'*-এমন সময় সেখানে নারী এল, নন্দিনী এল,



Leave a Comment