শ্রীরামকৃষ্ণের সমাজদর্শন | Sri Ramakrishner Samajdarshan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পিপাম্থু জ্ঞান, ভক্তি বা কর্মযোগ অনুসরণ করবে-_ধর্মের এই শাখ্বত- রীতিকে তিনি যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, তা এক বিজ্ঞানসম্মত বুদ্ধিগ্রাহী পথ ও পন্থা আমরা! সেই পথে ধর্মাচরণে প্রবৃত্ত হই না; বরং মনে করি, দেবতাকে কিছু ঘুষ দিয়ে যদি নিজের অভীষ্ট সিদ্ধ tai যায় মন্দ কি? তাই, যখনই কোথাও কোন অলৌকিক feral কলাপের সন্ধান পাই, তখনই পাগলের মত দুটতে থাকি সেদিকে ৷ মনে মনে একটা ধান্দা, যদি কিছু বাগিয়ে নেওয়া যায়। তারকেশ্বরের মহাদেব জাগ্রত দেবতা_ লক্ষ লক্ষ মানুষ তারক্েশ্বরের পায়ে হেঁটে ছুটে যায়। A কি দেবতার প্রতি ভক্তিতে, অথবা নিজের ধান্দা পুরনের জন্য ?] এই বল মানসিকতা ব্যাপক ও বহুলভাবে আছে বলেই অলোৌকিকতার ফাঁদ পেতে বারবার মানুষকে প্রতারণা করা হয়েছে। ভক্তি-_সেত fasta । সকাম ভক্তি পাটোয়ারি বুদ্ধি, যদি কিছু পাই--সেই cate | আমাদের এই লোভ আছে বলেই মাঝে মাঝে দেবীর চোখে জল দেখা দেয়, ফুয়া বাবা বা পাগল বাবার আবির্ভাব ঘটে এবং হাত বাড়িয়ে সোনা ধরার কৌশল দেখা দেয়। মানুষের প্রতি যে মানুষ সং নয়, প্রতিবেশীর প্রতি যে মানুষ বিশ্বপ্ত নয়, সামাজিক ধর্মপালনে যে মানুষ নিষ্ঠাবান নয়--সে কি অলৌকিক প্রক্রিয়ার ধার্মিক হতে পারে? জাল ও ভেজালের কারবারে দেশ ছেয়ে গেছে, মুনাফাখোরী এবং কালোবাজারের দাপটে জনজীবন বিপন্ন, শিশুর মুখের দুধ নিয়েও চলেছে ফাটকাবাজার- তবুও মন্দিরের পর মন্দির গড়ে উঠেছে। এই দেখেই কি বুঝতে হবে, আমরা সব ধামিক হচ্ছি ? ভগবান প্রীচৈতন্য সর্ব জীবের মুক্তি এবং যুগান্তকারী প্রেম ধর্মের পথ আমাদের সামনে মুক্ত করে দিয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীকালে আমরা সেই মহৎ মানব ধর্মকে কি অক্ষত ও অবিকৃত রাখতে পেরেছি 1 ধর্মের নামে ব্যভিচার আমাদের সুস্থ সবল চৈতন্যকে বিষাক্ত দংশনে BE বিক্ষত করেছে | জগাই-মাধাইকে দমন করে গ্রীচৈতন্য যে মানব ১৬



Leave a Comment