মনের মতো বই | Moner Mato Boi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১২ মনের মতো বই বোধেই নিতান্ত অনুগতের মত তাকে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে তৃলে নিয়েছে। কলকাতার VAs ea করে লাভ কি! দোষ তো সরকারের যে উপযুক্ত সংখ্যায় যানবাহন দিতে পাচ্ছে না। দোষ তো কর্পোরেশনের যে রাস্তাঘাটের গর্ত-গহুর 'মেরামত না করে বাস-ট্যাক্সিকে আরো পঞ্চত্ব পাইয়ে দিচ্ছে। নইলে মনে করুন, এমনিতেই তো কতো WHS, তার উপরে এই বর্ষা তেমন কিছু অঝোর-ঝরন নয়--এ আধঘণ্টার বৃষ্টি, তাইতেই কত ওয়ার্কিং আওয়ার, কত কাজের ঘণ্টা নষ্ট! সেই সঙ্গে কত কর্মশক্তির অপচয়! কেরানিরা কি করবে? কি করে আসবে, কি করে বা বাড়ি ফিরবে? সজল নয়নে তাকাল Nera | আমিও তো সেই কেরানি-কুলেরই একজন | শুনুন অফিস থেকে ফেরার সময় যদি বৃষ্টির জন্যে অসুবিধে হয়, তবে আমার অফিসে চলে যাবেন, সঙন্কোচ করবেন না, আমি আপনাকে লিফট HA! সব্যসাচী প্রায় কানে কানে বলার মত করে বললে। সামনে আর্দালি-রূপী অভিশাপ বসে, কোনো স্ত্রীলোকের সঙ্গে কিছু বন্দোবস্ত করতে গেলেই গুনবে বিষকানে। শুনতে হয় শুনুক, মেয়েটি কি উত্তর দেয় তাও শুনে নিক! নীলিমা বললে, 'মনে রাখব। কিন্তু অফিসে যাবার সময় যদি বৃষ্টি, নামে তথন?' বলার সঙ্গে সঙ্গে একটি কটাক্ষগর্ভ ae অহেতৃক উপহার দিল। “বেশ তো, আপনার বাড়িটা দেখিয়ে দিন, আমি সকালবেলা ঠিক তুলে নেব আপনাকে | 'আপনি যান কটায়?' 'নটায়।' 'তা হালে মিলল না। আমি বেরুই দশটা স-দশটায়।" তা হলে মিলল না। কেমন সাবলীল লাবণ্যে বললে। অনেক অনেক অমিল। নটায় বেরুতে পারলেও মিলত না। জলের সঙ্গে খেলতে খেলতে থেমে থেমে এগুতে লাগল NS! নীলিমা যে একটি প্রগাড় চাহনিতে বুঝে নিয়েছিল মানুষটি ভদ্র হবে, বিশ্বাসযোগ। হবে--একটুও ভূল করেনি। একটাও অবান্তর প্রসঙ্গ তুলছেন না, বিরক্তিকর প্রশ্ন কর/ছেন না, তার সম্ভ্রাত্ততায় অটল থাকাছেন। অন্য লোক হলে এর মধ্যে নিজের প্রতাপ-প্রতিপত্তির কথাও FE বলে নিত, TMP বা ড্রাইভারকে দুটো প্রশ্ন করেও বোঝাতে পারত নিজের মহিমার দ্যুতি- ay, কিন্ত ভদ্রলোক নীরবতায় ডুবে রইলেন | FUT কখনো নীরবতা বুঝি মুখরতার মতই উদ্বেগজনক। কি পথটুকু ভালোয় ভালোয় কেটে গেলেই “ihe কিন্তু বৃষ্টি বিষম বেহিসেবী। জলের অস্পষ্টতার মধ্যে পুরোনো চেনা মাটিটাকে ঠিক ঠাহর করা যায় না। মাপ-জোকে ভুল হায় পড়ে। অনেক ঘুর-পথ ধরিয়ে দেয়। জন্মান্তরের সৃহৃদকেই শুধু মনে করিয়ে দেয় না, প্রাচান-বয়ঙ্ক এক অজানা পথিককেও সুহৃদ করে তোলে। এবার সেই টার্নিং-এর পয়েন্টটা এসে পড়ল। আর ভাগ্যের এমন পরিহাস, বৃষ্টিও সেই মুহূর্তে প্রবলতর হল। একটা বাজও পড়ল বিদীর্ণ ara “কি, এইখানটায় নামবেন বালছিলেন--নামবেন?'” সব্যসাচী খোঁচা মেরে বললে। 'না। দয়া করে আমাকে আমার বাড়ির কাছে নামিয়ে দিন।' 'আপনার বোধ হয় ইচ্ছে ছিল না বাড়িটা আমি চিনে রাখি!



Leave a Comment