জীবন শতক | Jeevani Satak

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তবু কনফুসিয়াসকে চীনের কোটি কোটি নর-নারী না ভালোবেসে থাকতে পারত না, কারণ তাদের কাছে এই মানুষটির মুখের উচ্চারিত প্রতিটি বাক্য ছিল মুক্তার মতো দামী । তীর সর্ব অবয়বে জ্ঞানের আভা যেন ঝলমল করত; তিনি যেন প্রজ্ঞার বেদীর ওপর দাড়িয়ে ধর্মাচরণে সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকতেন । তাই তো তার ও জনসাধারণের মধ্যে একটা Gas ব্যবধান গড়ে উঠেছিল। বাহান্ন বছর বয়সে তার আবার ডাক পড়ল দেশের সরকারের কাছ থেকে । তার নিজ্ব দেশের চুঙ-তু নামক একটি শহরের রাজ্যপালের পদে faqs হলেন তিনি। শাসক হিসাবে এই সময় তিনি তার প্রতিভার ও জ্ঞানের এবং বিচার-বিবেচনার যথেষ্ট পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিছুকাল বাদে তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ লাভ করেন। তার শাসনপদ্ধতির ফলে শাসনব্যবন্থার সর্বস্তরে অন্তবিধা ও বিশৃঙ্খলা চিরকালের মতো বিদ্ুরিত হয়েছিল ; ফিরে এসেছিল পুরুষদের মধ্যে আনস্তরিক রাজাঙ্গগত্য, আর স্ত্রীলোকদের মধ্যে সতীত্ব ও সংসার-ধর্ম পালনে নিষ্ঠা । দেশের Hats ব্যক্তিদের ক্ষমতা হ্রাস করে দিয়ে, সাধারণ মানুষকে অত্যাচ,র থেকে qe করে দিয়ে, ন্যায়ের চক্ষে সকলকে সমান করে দিয়ে, কনফুসিয়াস চীনের জনসাধারণের জীবনে যেন এক নবযুগের সঞ্চার করে দিয়েছিলেন। সমাজ ও mee fort যেসব সংস্কার নিয়ে এসেছিলেন সেগুলির রচনা ও পরিক্ল্পনায় আধুনিকতার ছাপ ছিল | সত্তর Tea বয়স পর্যন্ত কনফুসিয়াসের জীবন ছিল খুবই setae জীবনের পরবর্তা পাঁচটি বছর তিনি একান্তে অবসর জীবনযাপন করেন লেখার কাজে; শিষ্যদের উপদেশ প্রদানে তিনি তখনো পর্যন্ত ছিলেন ক্লাস্তিহীন। এই সময়েই তিনি রচনা করেন তাঁর একমাত্র গ্রন্থ [চুন্‌ চিউ fae’ ( “বসন্ত ও শরৎ* ); এর মধ্যে বিবৃত হয়েছে আডাইশ বছরের কাহিনী । চীনের আডাইশ বছরের এঁতিহাসিক ঘটনাবলীর সংক্ষিপ্তলার এই গ্রন্থটি, চীনা পণ্ডিতদের মতে ইতিহাল রচনার একটি আদর্শ গ্রন্ব। স্ত্রী: পূর্ব ৪৭৮ সালে ছিয়াত্তর বছর বয়সে মৃত্যুকালে এই WISH অথচ ভগ্নযনোরথ মাছুষটির মুখের উচ্চারিত শেষ কথাটি ছিল এই, “আমাকে কেউ চিনতে পারল না।” তার মৃত্যুর পর তীর প্রতি শ্রদ্ধাবান শিল্পরা তিন বছর ধরে কনফুলিয়াসের সমাধি পার্কে শোক পালন করেছিল । মৃত্যুর পরে চীনের ভৌগোলিক aa) অতিক্রম করে amet পৃথিবীতে যেমন পরিব্যাপ্ত হয়েছিল কনফুসিয়াসের খ্যাতি, তেমনি ছড়িয়ে পড়েছিল তার উপদ্গেশাবলী | তীর ছুটি উপদেশ খুব বিখ্যাত--(১) দেবতাদের শ্রদ্ধা করো, কিন্তু তাদেরকে তফাতে রেপে দিও এবং (২) ‘cab মানুষ সে-ই যার জীবনাচরণে কোন ফাকি cat ।



Leave a Comment