পথে বিপথে | Pathe Bipathe

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মোহিনী অন্ধকারের মধ্যে এই ছবির ছুটি কালে৷ চোখ আমার দিকে এমনি একটা উৎকণ্ঠা নিয়ে চেয়ে রইল যে, সে-ঘরটায় কোনো অদলবদল করতে আমার সাহস হল না। কিন্ত, সে-ঘরটাকে তালা-বন্ধ করে ফেলে রাখতেও আমার ইচ্ছে ছিল না । বাড়ির মধ্যে সেই ঘরটা সব চেয়ে আরামের, একেবারে ফুল-বাগানের ধারেই ; দক্ষিণের হাওয়া এবং পুবের আলোর দিকে সম্পূর্ণ খোলা ঘরখানি ! আমি সেইখানেই আমার অন্তরঙ্গ বন্ধুবান্ধব নিয়ে খাস-মজলিস-_ সেকালের মতো নয়, একালের ক্লাব-রুমের ধরণে-- গড়ে তুললেম। আমরা সেই সাবেক-কালের নাচঘরটায় বসে চা-চুরুটের সঙ্গে পলিটিক্স, সোসিওলজি, থিওলজি এবং জার্মান-ওয়ারের চর্চায় ঘোরতর তর্কযুদ্ধে যখন উন্মত্ত হয়ে উঠেছি তখন হঠাৎ এক-একদিন এই ছবিখানার দিকে আমার চোখ পড়লেই, সেকালের বিলাসিতার সাজ-সরঞ্জামের মধ্যে বিলাতি কেতায় আমাদের এই একালের মজলিস এত কুঞ্জী বোধ হত, ছুই কালের ব্যবধানটা এমন স্পষ্ট হয়ে দেখা দিত যে, আমাদের তর্ক আর অধিক দূর অগ্রসর হত না। আমাদের মনে হত, এ ঘরের স্বামী যিনি, তার অবর্তমানে HTS আমর! একদল এখানে অনধিকার প্রবেশ করে গোলমাল বাধিয়েছি ; এখনি যেন বাবুর খানসামা এসে আমাদের এখান থেকে ঘাড় ধরে বিদায় করে দেবে | মনের এই সন্ত্রস্ত ভাব নিয়ে ও-ঘরখানার মধ্যে আড্ডা জমিয়ে তোলা অসম্ভব দেখে আমার THM বলতে লাগল, “ওহে অবিন, তোমার, ভাই, ওই মোহিনীকে এখান থেকে না নড়ালে চলছে না; ওর ওই ভুতুড়ে-রকমের চাহনিটায় আমাদের এখানে স্থির হয়ে থাকতে দেবে না দেখছি ।” কিন্তু, বন্ধুদের অনুরোধ রক্ষে হল না; মোহিনী যেখানকার সেইখানেই রইলেন ; বন্ধুরা একে-একে সরে পড়তে USAT | /এই সময় আমার মনে হত, GSA যেন একটা ৫



Leave a Comment