আশাপূর্ণা দেবী রচনা সংগ্রহ | Ashapurna Devi Rachana Sangraha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কি নাম মনে করতেই, ওর ফেলে রাখা বইটা টেনে নিলো। থাকলেও থাকতে পারে নাম। ছিলই । প্রথম পাতার নীচের দিকে কোণাকুণি ভাবে লেখা ছিল। মালবিকা নামটার ওপর চোখ ফেলে একটু তাকিয়ে রইল। SASS রায়। নামটা সভ্য-ভব্য-ভদ্র। অবিশি্যি বইটাই ওর নিজের কি না তা বলা যায় না। অন্যের বই চেয়ে এনে পড়া যায়। না বলে চেয়ে নিয়ে কাছে রাখা যায়। বই সংগ্রহের একটা বিশেষ পথই তো পরের বই পড়তে চেয়ে এনে আর ফেরৎ না দেওয়া। তবে পড়তে চেয়ে আনলেও রুচি আছে' তা মানতেই হবে। এসব বই যারা পড়ে _ গাড়ি নড়ে উঠল। মালবিকা ভয়-ব্যাকুল মুখে দরজার কাছে ছুটে গেল। লোকটা এলো না এখনো? আসছে। এক হাতে জলের ব্যাগ, অন্য হাতে খাবারের corer নিয়ে ছুটতে ছুটতে আসছে। চলম্ভ গাড়িতেই উঠে পড়লো। তার আগে মালবিকা হাত বাড়িয়ে ওর হাতটা ভারমুক্ত করে ফেলে এই TPH | 'এটা কি হলো?' মালবিকা প্রায় রেগে ফেটে পড়ে বলে, 'আর একটু হলেই কি হতো বলুন তো?” SIGS একটু হেসে বলে, কি আর? বড় জোর ভাবতেন লোকটা জোচ্চোর, ছুতো করে জলের পাত্রটা গ্যাড়াফাই করে কাট মারলো।' 'সত্যি! কি একখানা দামী জিনিস! এই রকম গৌঁয়ার্তুমি করতে গিয়েই লোকে ইচ্ছে করে বিপদ ডেকে আনে, বুঝলেন! 'আমি ওটা মানি at বিপদ যখন আসবার ঠিক আসবেই ।' মনে মনে বলে, এই তো এখনই তো। মনে হচ্ছে বেশ বিপদ ঘনিয়ে আসছে। আমি শ্রীভবদ্তৃতি রায়, এই ত্রিশ বছর বয়েস অবধি দিব্যি অক্ষত চিত্তে ঘুরে বেড়িয়ে এলাম, হঠাৎ এই ক ঘণ্টা দেখা মেয়েটা আমাকে আলোড়িত করছে কেন?..... ওর জন্য বেছে বেছে ভাল খাবার আনতে গিয়ে আমি Ga মিস করতে বসছিলাম কেন? মালবিকা রেগে বলে, ঠাকুমা দিদিমার মতো কথা বলছেন যে! আমার এক ১৪



Leave a Comment