শাকম্ভরীর দ্বীপ | Shakambharir Dweep

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অল সাকসেস। বাইরে বেরিয়ে এলো সরিৎ। ঝকঝক করছে আজ রাস্তাঘাট প্রাক-ডিসেম্বরেও বৃষ্টি পড়ে আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে গেছে। গরমের ভয়াবহতা নেই। কিন্তু শীতও নেই তাই বলে। অদ্ভুত ছেলে এই রঞ্জন। বিশাল ধনী ঘরের ছেলেরা যেমন হয়। সেই অহঙ্কার, বেপরোয়া ভাব, কিন্তু এটা তো স্বীকার করতেই হবে যে সে আপাদমস্তক খেলোয়াড় | নানা বিষয়ে রঞ্জনের শখ, আগ্রহ | এটা' তো ওরা অনেকদিন থেকেই SATA | SOT Bahai | তারা দেখতে ভালোবাসে AST ও বিষয়ে পড়াশোনাও AAS | এটা রঞ্জনের একটা গভীরতার MB | স্কুল কনসার্টে পিয়ানো বাজাতো রঞ্জন, দারুণ গলায় গাইতো। মেয়েরা তো বটেই ছেলেরাই রঞ্জন বলতে পাগল ছিল। অথচ এত খেলাধুলো গানবাজনা, আকাশবিজ্ঞান সব গুলোই শুধু শখ, শখের BET | শখের চর্চা করতে করতেই ন্যাশন্যালস্‌- এ খেলতে চলে এলো। তাহলে সত্যিকারের চর্চা করলে কী না হতে পারতো! জীবিকা অর্জনের তাড়া বোধহয় আমাদের সবচেয়ে বড় তাগিদ। আজকাল। যাতে সত্যিকার আগ্রহ বা ভালোবাসা আছে সে সব পেছনে ফেলে কিসে উপার্জন বেশি হবে, সামাজিক মানমর্যাদা ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে এই তাড়াই আমাদের অন্যদিকে নিয়ে চলে। সে নিজে তো চুপি চুপি কবিতা লিখতো, লিটল ম্যাগাজিনে বারও হত সেগুলো। একটা সময় কবিতা ছিল দারুণ একটা প্যাশন | পাগলের মতো পড়তো | কিন্তু কখনও ভাবতে পারেনি, অন্য কিছু না করে কবিতা চর্চাতেই মন দেওয়া যাক। বললে, লোকে পাগল ভাবতো। সেই অখ্যাত কিন্তু হতে-পারতো সার্থক কবি পরিষেবার চাকরিতে চলে এলো | ভেবে দেখতে গেলে এটা কি একটা জীবিকা হল? চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজ্ঞ এসব হবার জন্য হয়তো কবিতা বিসর্জন দেওয়া যায়, কিন্তু পেশাদার আতিথেয়তা? এটা কি একটা যথেষ্ট কারণ হল?! ক্ষতিপূরণ হল? রঞ্জন সোনার চামচে মুখে নিয়ে জন্মেছে। জীবিকার তাড়না নেই। এটা যে কত বড় ভাগ্য! নিজের পছন্দমতো গ্রহ তারা দেখে। টেনিস খেলে, গান করে শুনে জীবন কাটানোর যে সুযোগ সে পেয়েছে তার সদব্যবহার করবে না-ই বা কেন? সবাইকেই কিছু না কিছু হতে হবে তার কী মানে আছে? আসল হল আনন্দ পাওয়া, জীবনটাকে তিলতিল করে উপভোগ করা কী জিনিস সেটা রঞ্জনের চলাফেরা চেহারা দেখলেই বোঝা যায়। শুধু একটাই কথা। একটু TTBS দায়িত্ব নিতে তোমাকে হবে। আর একটা কথা। তোমার স্বাধীনতা, তোমার উপভোগ যেন অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়ে MOTH | সত্যি, নির্দায় উপভোগ ভালো না দায়যুক্ত নিরানন্দ ভালো? বাড়ির কাছাকাছি পৌছোতে পৌছোতে সে PRA করে ফেললো একটা মাঝামাঝি কিছু চাই। এই যে সে আজ বাড়ি ফিরছে, দিদি আর ভাগনে আসার কথা আছে। মায়ের সঙ্গে ওরা নিশ্চয়ই এতক্ষণে গল্প জুড়ে দিয়েছে। বাড়ির ভেতরে পা রাখলেই পরিচিত প্রিয় কষ্টগুলো তাকে থিরে ধরবে। মার একটু একা-একা লাগতে শুরু-করেছে। দিদি এলে মুখটা এক্কেবারে বদলে যায়। গাড়ি গারাজ করে সে খুশি মনে ওপরে উঠতে লাগলো। ১৪



Leave a Comment