আঁধার রাতের আগন্তুক | Andhar Rater Agantuk

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
'পরে আলতো করে চেপে ধরতে গেলাম। আর তখনই, ঠিক তখনই অমৃতার ঘুম ভেঙে গেল। ঘুম ভাঙতেই ও চকিতে উঠে বসল। পরনের এলোমেলো শাড়িখানাকে ও ঠিকঠাক করে নিল। তারপর ঘুম জড়ানো গলায় ও আমায় জিজ্ঞাসা করল, কখন এলে? আমায় ডাকোনি কেন? তোমার পরনের কাপড় এমন ভিজে কেন? অমৃতার কোন প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারলাম না আমি। মুখ নীচু করে বসে রইলাম। বসে বসে নিজের বুকের টিপ্‌ টিপ্‌ শব্দ শুনতে লাগলাম। অমৃতা আবার আমায় জিজ্ঞাসা করল, কথা কইছ না কেন? কী হয়েছে তোমার? আমি নিশ্চুপ। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে আমার সময় লাগল। কিছুক্ষণ পরে মুখ তুলে আমি অমৃতার পানে চাইলাম। বললাম, সেদিনের কথায় খুব রাগ করেছিস তুই, তাই না? আমার ঘাট হয়েছে রে, অমৃতা। ওরদিকে হাত বাড়িয়ে আমি বললাম, আয়, আমার কাছে আয়। আজ আমি তোর সব ইচ্ছাপৃছঘ্ঘণ করে দেব। আমার কথা শুনে অমৃতা মিটিমিটি হাসতে লাগল। ওর দিকে দু'হাত বাড়িয়ে আবার আমি ডাকলাম ওকে। বললাম, আয়, আমার কাছে আয়। অমৃতা কিন্তু আমার কাছে এল না। কিন্তু তবুও ওর হাস্যরঞ্জিত মুখে আমি প্রত্যক্ষ করলাম ওর সব-পাওয়ার আনন্দ। মিটিমিটি হাসতে হাসতেই ও অস্ফুটে উচ্চারণ করল, 'অসভ্য'। আর তার পরেই ও খিল খিল করে হেসে উঠল। রামায়ণ পাঠ থামিয়ে পাশের ঘর থেকে ওর ঠাকুমা জিজ্ঞাসা করলেন, আ্যাই লক্ষ্মী, অত BAR কেন করে? are উত্তর দিল, এমনিই । লক্ষ্মীর ঠাকুমা বললেন, ওমা! এমনি এমনি আবার কেউ হাসে নাকি? লক্ষ্মী বলল, হ্যা, হাসে ওর ঠাকুমা আবার ওকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তোর ঘরে কে রয়েছে রে? লক্ষ্মী গলা নামিয়ে উত্তর দিল, তোমার নাত জামাই। কী বললি? জোরে বল, শুনতে পাচ্ছি নে। লক্ষ্মী গলা চড়িয়ে বলতে গেল, তোমার নাত-_ | আমি হাত দিয়ে ওর মুখ চেপে ধরলাম। লক্ষ্মী আমার হাতখানা সরিয়ে দিয়ে আবার খিল খিল করে হেসে উঠল! পাশের ঘর থেকে ওর ঠাকুমা বললেন, বুঝেছি! লক্ষ্মী ওর ঠাকুমাকে জিজ্ঞাসা করল, কী বুঝেছ, শুনি? ঠাকুমা বললেন, দীপক এসেছে। কী করে বুঝলে? জিজ্ঞাসা করল oR তোর হাসি দেখে! এ oft তো মুখ গোমড়া করে বসে ছিলি ১৬



Leave a Comment