অনলপ্রভ বিদ্যাসাগর | Analprabha Vidyasagar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বেরিয়েছেন। বড়োবাজারের আস্তানা থেকে বেরিয়ে ATTRA | ঠনঠনে পর্যন্ত এসে আর হাটতে পারলেন না। মনে হচ্ছে, অজ্ঞান হয়ে যাবেন। পেটে কিছু নেই, তার ওপর প্রবল তৃষ্ণা। কলকাতার করুণাময়ী ঠনঠনিয়া। সোনার জিভ বের করে মা দাড়িয়ে আছেন ভিখারি শিবের বুকে। মন্দির TH মায়ের এখন বিশ্রামের সময়। মধ্যাহ্ন ছাগ বলি হয়েছে। ভক্তের মানত ছিল। মা মামলা জিতিয়ে দিয়েছেন। কারুর সর্বনাশ, কারুর পৌষমাস। একদল ভিখারি কাপড় বিছিয়ে শুয়ে আছে। মন্দিরে মায়ের ঘুম ভাঙলে উঠে বসবে। মায়ের কৃপায় দু-চার পয়সা পড়বে। একজনের গানের গলা আছে। ভক্তিও আছে। ভিখারি নয় বৈরাগী। তিনি গাইছেন, তোমার কে মা বুঝবে লীলে তুমি কী নিলে কী ফিরিয়ে দিলে॥ তুমি দিয়ে নিচ্ছ তুমি, WR রাখ না সীঝ-সকালে। তোমার অসীম কার্য অনিবার্য মাপাও যেমন যার কপালে॥ অল্প দূরে ছোট্ট একটি দোকান। মধ্যবয়সি এক বিধবা মহিলা মুড়িমুড়কি বিক্রি করছেন। SPAM দোকানটির সামনে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছেন, মুড়ি-মুড়কি, কদমা, বাতাসা। মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ। পেটে আগুন জ্বলছে। একপাশে দাড়িয়ে আছেন ঠাকুরদাস। তাকে ওই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মহিলা জিজ্ঞেস করলেন, 'বাবাঠাকুর, দাঁড়িয়ে আছ কেন?” ঠাকুরদাস বললেন, “খুব জলতেষ্টা পেয়েছে। এক গেলাস জল দেবে মা ৷ মহিলা সাদরে, ACTS ঠাকুরদাসকে দোকানের ভেতরে ডেকে নিলেন, “বোসো বাবা, বোসো। আমি জল দিচ্ছি।' ব্রাহ্মণের ছেলেকে তো শুধু জল দেওয়া যায় না। প্রথমে একমুঠো মুড়কি দিলেন। সামনে রাখলেন এক ঘটি জল। তিনি দেখছেন, ব্রাহ্মণসম্তান গোগ্রাসে মুড়কিগুলো খেয়ে ফেললেন; যেন আরো থাকলে ভালো হত। মহিলা সম্ত্রেহে জিজ্ঞেস করলেন, “বাবাঠাকুর, আজ বুঝি তোমার কিছু খাওয়া হয়নি?” ২০



Leave a Comment