সোনার জলের ঘড়ি | Sonar Jaler Gori

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মঙ্গল বলল, “ঠিক জানি না। তবে নিয়ে যাওয়াই ভাল ।' “তা হলে বাড়ি যাই, কী বলিস?' ‘alt শিগগির চলে যা। মেজোবাবু বেরিয়ে যাবে কিন্তু। আমারও যাওয়া দরকার। বাড়িটা কত দূর বল তো! ওদিকে আবার-_ ।' বড়দা মঙ্গলের গা ছুঁয়ে দেয়। কিছু বলেন না, যেন তুই যা করছিস না!।--'সর, গেটটা লাগিয়ে দিই। চাবিটা আমার কাছেই থাক, কী বলিস কালিদাস? ক'দিন তো মিস্থিদের কাজ বন্ধ ।' হ্যা। তোর কাছেই থাক। আমার মাথার ঠিক নেই৷ রড রাস্তার মোড় থেকে দু'জন দুদিকে যাবে। মঙ্গল যাবে ডান দিকে বাজারে, আর বড়দা বাড়ি ফিরবে। পাশেই স্কুলের দোতলা বাড়ি। গমগম করছে বাড়িটা। মঙ্গল হঠাৎ বলল, 'আচ্ছা, তোর ভাই তো এই স্কুলেই এইটে পড়ে ?' Sai 'স্যারদের কি একবার জানিয়ে রাখবি ?' ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না বড়দা। বলেন, 'এখনই জানানো ঠিক হবে?' ‘Qe | তুই ঠিকই বলেছিস। তার আগে মালিকের সঙ্গেই দেখা করে আয়।' হনহন করে চলে আসেন বড়দা। বস্তিতে ঢোকার মুখে বাণী বুক স্টোর, তার পাশেই ভাত্তু সাউয়ের খোল সারানোর দোকান। উল্টোদিকে তাকাতেই বাবাকে দেখতে পেলেন বড়দা। এদিক ওদিক তাকিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। ফুটপাথে পা রাখতেই বাবা বললেন, 'কালিদাস!” খোঁজ পেলি?' 'রতনের কোনও ফটো আছে ঘরে ?' ডানদিকের কাচটা একদম হিজিবিজি ৷ চশমার বাঁ কাচেই যা দেখতে পান। ঘাড়টা তোলাই থাকে। মুহূর্ত ভাবেন। বলেন, “দেখেছি বলে তো মনে হয় না। যা আছে সে তো তোদের মায়ের সঙ্গেই তোলা |’ 'তা দিয়ে কি হবে?' “কেন, ওর ফটো দরকার কেন?” 15



Leave a Comment