শিখর পেরিয়ে | Shikhar Periye

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ শিখর পেরিয়ে CAS | কিন্তু তনিমা এখনও দোদুল্যমান। বলল, 'আমার খুব ভয়' হচ্ছে।” WITH সে যে ভুগছে, সুবিমলরা আসার আগে দেবনাথকে সে তো জানিয়েছিল। কৃষ্ণকিশোর জিজ্ঞেস করলেন, “কিসের ভয়?” তনিমা পালটা প্রশ্ন করল, 'আপনারা আমাকে জেতাবার জন্যেই তো মাঠে ' নামাতে চাইছেন?' 'অবশ্যই। আপনি জিতবেনও |” মাথাটা ডাইনে থেকে বাঁয়ে, বাঁয়ে থেকে ডাইনে বারকয়েক ঘুরিয়ে তনিমা হাসে, 'ইমপসিবল। আমার জামানত, যদিও আপনাদের পার্টিই জমা দেবে-_ফ্রফিটেড হয়ে যাবে। আমি ডাহা হারা হারব। লোকে দাঁত বার করে হাসবে। ইট উড বি আ ফার্স_' কৃষ্ণকিশোররা হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন, বাড়ি এসে টিক্রেট দেবার কথা বললে চিত্রতারকাটি মোমের মতো গলে পড়বে। উলটে সে এমন সব কথা বলছে যা অস্বস্তিকর। জবাব দিতে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন কৃষ্ণকিশোর। অগত্যা সুবিমলকে হাল ধরতে BA | তার মাথা বরফের মতো শীতল। কখনও মেজাজ SA হয় না। অত্যন্ত বিচক্ষণ। যারা রাজনীতির মাঠ চষে বেড়াচ্ছে তারা জানে লোকটি একজন চতুর খেলোয়াড় | বেকায়দা পরিস্থিতিতে পড়লে কোন কৌশলে বেরিয়ে আসা যায় সেটা তার জানা। সুবিমলের মুখ আপন-করা হাসিতে ভরে যায়। ধীরে ধীরে বলেন, “দিদিভাই, আপনার হারার সম্ভাবনা থাকলে কি টিকেট দিই? সিকিউরিটি ডিপোজিট ফরফিটেড় হলে আপনার অসম্মান যতটা, তার দশগুণ মুখ পুড়বে আমাদের দলের। মনে রাখবেন এটা একটা অল-ইন্ডিয়া পার্টি। ইলেকশান নিয়ে আমরা ছেলেখেলা করতে পারি না। তনিমা থতিয়ে যায়। এদিকটা সে খেয়াল করে নি। আচমকা কিছু মনে পড়তে বলে ওঠে, “একটা কথা আমি ভেবে পাচ্ছি না স্যার-_' কী দিদিভাই?” . গোড়ার দিকে “ম্যাডাম” বলছিলেন সুবিমলরা। এখন তাদের গলায় অস্তরঙ্গতার সুর। ম্যাডাম দিদিভাই হয়ে গেছে। তনিমা সেটা লক্ষ করেছিল। দিদিভাইতে সে মজল না। স্যার বলছিল, সেটাই আপাতত বজায় রেখে বলে, 'আপনাদের পার্টিতে গুণময় ATG, মল্লিনাথ দত্ত, হেমস্তকুমার লাহিড়ির মতো শ্রদ্ধেয় সব মানুষেরা রয়েছেন। দেশের জন্যে তাদের কত সস্যাক্রিফাইস। শুনছি, ওঁদের নাকি এবার নমিনেশন দেওয়া হচ্ছে না” রাজনীতিতে কম্মিনকালেও তনিমার আগ্রহ ছিল না। কিন্তু দিন পনেরো হল অর্থাৎ যখন তাকে মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে সুবিমলদের সঙ্গে



Leave a Comment