For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৬ রবীন্দ্র-জিজ্ঞাস ধ্যান তো সম্ভব নয়। শ্েয়ের ধ্যান বিশ্বকে স্বীকার করিয়া, তাহার ay
ব্যক্তিকে আপন সুখ ay তুচ্ছ করিয়৷ পথে নামিতে হয়। কবিও
তাই দেখিলেন,--বিশ্বজীবন চেতনায় জাগ্রত হইয়া, বৃহতের প্রেমে
উদ্বেজিত হইয়৷ এক সোনার তরীতে তিনি যাত্রী হইয়াছেন এবং কবির
যে দেবতা মুতিমাত্র হইয়াছিলেন, ধূপের city ও ‘Mer গন্ধে” যে
মুতির অনেকখানি ঢাকা পড়িয়া ছিল, সেই দ্বেবতা মধুর হাসিয়া কবির
সোনার তরীর নেয়ে 'হইয়া হালটি ধরিয়া বসিয়া আছেন। কবি গাহিয়৷
উঠিলেন-_
আর কতদুর নিয়ে যাবে মোরে
হে সুন্দরী |
বলো, কোন্ পার ভিড়িবে তোমার
সোনার তরী |
“সোনার তরী'তে কবি উঠিয়া বসিয়াছেন। কোথায় চলিয়াছেন, কিসের
অস্বেষণে চলিয়াছেন, তাহা এখনও স্পষ্ট হয় নাই। এখন শুধু যাত্রা সুরু
হইয়াছে, কিন্তু কোন্ পারে পৌঁছিবার জন্য যে যাত্রা, সে কথা কবি জানেন
না। হয়তো সে পারে নবীন জীবন রহিয়াছে, হয়তো সেখানে স্বর্ণফল
আশার স্বপনকে দেখিতে পাওয়া যায়, কিংবা হয়তো এ সব কিছুই
নাই, হয়তো শুধুমাত্র fans পথচলার সকল প্রয়াসের অবসানরূপে
বিরাজ করিতেছে। মধুরহাসিনী সোনার তরীর সেই নেয়ে মিমি
নৌকার হাল ধরিয়া বসিয়া আছেন, তিনিই সে কথা জানেন। তাহার
সহিত কবির এখনও পরিচয় হয় নাই, এখনও বাক্যালাপ হয় নাই ,
এখন শুধু-_
RX করে বায়ু ফেলিছে সতত
দীর্ঘশ্বাস ।
অন্ধ আবেগে করে গর্জন
জলোচ্ছ্বাস।
সংশয়ময় ঘন নীল নীর,
কোনো face চেয়ে নাহি হেরি তীর,
অসীম রোদন জগৎ প্লাবিয়া
দুলিছে যেন |