দামোদর ধর্মানন্দ কোসাম্বি | Damodar Dharmananda Kosambi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
MICAS FNM কোপা খ হয়। স্ত্রী ও কন্যাকে তিনি সাত বছর ধরে দেখেন নি। তাঁদের কথা মনে পড়ে। ১৯০৬ সালের অক্টোবর মাসে ধর্মানন্দ গোয়ায় নিজের বাড়িতে ফিরে যান। তখন কলকাতায় শারদোৎসবের ছুটি চলছিল। ছুটি শেষ হওয়ার আগেই তিনি কলকাতায় ফিরে যাবেন। ধর্মানন্দকে “বাঙালি পোশাকে CHCA” স্ত্রী বালাবাঈ কেঁদে ফেলেন। অশ্রবর্ষণের এমন কারণ ধর্মানন্দ তার আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন | তিনি আরও লিখেছেন, স্ত্রী আমার সঙ্গে কলকাতায় যাওয়ার জন্য তৈরি। ছোট্ট মেয়েটি আমার মুখভর্তি দাড়ি গৌঁফ দেখে সঙ্গী হতে রাজি হয়নি।” মেয়েকে তার দিদিমার কাছে পাঠিয়ে দিলেন ধর্মানন্দ। Hale কলকাতায় ফ্রিলেন। মেয়ে তাকে চিনবে কেমন করে? এক মাসের একটু বেশি বয়সী মেয়েকে বাড়িতে রেখে তিনি বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সে কখনও চিনতে পারে? স্বামীর সঙ্গে তিনি সংসার করতে পারবেন, ভেবেছিলেন বালাবাঈ। কলকাতা শহর তার ভালোই লাগছিল। মেয়ের কথা ভেবে কষ্ট হতো। মেয়ে যদিও দিদিমার কাছে দিব্যি সুখেই ছিল। সুখ সইল A | ভীষণ অসুখে পড়লেন বালাবাঈ। গোয়ায় ফিরে গেলেন। ১৯০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে বালাবাঈ গোয়ায় ফিরে যান | ১৯০৭ সালের OST জুলাই তিনি এক পুত্র সম্তানের জন্ম দেন। পারিবারিক প্রথা, পিতামহের নামে পৌত্রের নামকরণ করতে হয়। বেঁচে নেই পিতামহ | তার নামে শিশুটির প্রথম নাম হলো 'দামোদর”। পুরোনাম দামোদর ধর্মানন্দ কোসাম্বি। ডি. ডি. কোসাম্বি। ১৯০৭ সাল। জাতীয় বিদ্যালয়ে পালিভাষার শিক্ষক হিসেবে ধর্মানন্দের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। ওই সময় তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ পেলেন। উপাচার্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিভাষা ও সাহিত্যের পাঠক্রম চালু করতে চান। ধর্মানন্দ রাজি না হলে একাজ সম্ভব নয়। উত্তরে ধর্মানন্দ জানালেন, জাতীয় বিদ্যালয়ের কাজ তিনি ছাড়তে পারবেন না, উপাচার্য এই শর্তে রাজি হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে পারেন। স্যার আশুতোষ শর্ত মানতে রাজি Bet বিশ্ববিদ্যালয় তাকে প্রতি মাসে একশো টাকা করে দেবে। দু'জায়গা থেকে মাইনে তিনি নেবেন না। জাতীয় বিদ্যালয়ে তিনি বিনা মাইনেতে পড়াবেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইনে নেবেন। । কথা প্রসঙ্গে বলা যেতে ১৬



Leave a Comment