মানবজমিন | Manabjamin

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ঘরটা হাট করে খোলা 1 TG নেই | শ্রীনাথ তার ইজিচেয়ারে বসে খানিক বিশ্রাম করে | তাবপর উঠে জামাকাপড় পরতে থাকে | শ্রীনাথের চাকরিটা খুবই সামান্য । এত ছোটো চাকরি যে, নিজেকে নিয়ে একটু অহংকার থাকে না | একটা মস্ত বড় নামী প্রেসে সে ABW দেখে | বেতন যে খুব খারাপ পায় তা নয় | কিন্তু এ চাকরিতে কোনো POY নেই, উন্নতির সম্ভাবনা নেই, উপরন্তু সারা বছরই প্রচণ্ড খাটুনী | তারা সব ক'জন ভাই-ই ছিল ভাল ছাত্র | শ্রীনাথ Gata সালে ফার্স্ট ডিভিশনে we আর সংস্কৃতে লেটাব পেয়ে ম্যাট্রিক পাস করে | আই এস-সিতে লেটার Ai পেলেও ডিভিশনটা ছিল | বি এস-সিতে পাসকোর্সে ডিস্টিংশন পায় | কিছু লোক আছে যাদের পাথরচাপা কপাল।বি এস-সি পাস করে কিছুদিন মাস্টারী কবেছিল শ্রীনাথ | তখন মনে হত, একদিন নিশ্চযই সে এ সব ছোটোখাটো পরিমণ্ডল ছেড়ে মস্ত কোনো কাজ করবে | মফঃস্বল ছেড়ে কলকাতাবাসী হওযার জন্য একদা মাস্টারী ছেড়ে প্রেসের চাকবিটা নিয়েছিল সে । তখনো ভাবত, এ চাকরিটা নিতান্তই সাময়িক | বড় চাকরি পেলে এটা ছেড়ে দেবে | সেই ছাড়াটা আব হয়ে উঠল না | একটা জীবন বড় কষ্টে কেটেছে | দাদা মল্লিনাথ ছিল মস্ত ইঞ্জিনিয়ার | কিন্তু একটু ক্ষ্যাপাটে স্বভাবের দরুন এক চাকরি বেশীদিন করত না | তারপর একদিন খেয়ালের বশে 'মারকিনী কায়দায় র্যানচ বা খামারবাড়ি বানিয়ে চাষযবাস কবে একটা বিপ্লব ঘটানোব Ga এইখানে চলে এল | উন্মার্গগামী ও অসম্ভব সুপুকষ ws ভালবাসত সবাই | সে বিবাহে বিশ্বাসী ছিল না, কিন্তু একট্র হযতো মেযেমান্যেব দোষ ছিল | প্রচণ্ড me থেত ৷ খুব খাটত, অনিয়ম করত, শরীরের যত্ন নিত না । ছুটির দিনে Alaa সপবিবারে বেডাতে এলে মল্লিনাথ তাদের ছাড়তে চাইত না | SATs এটা ওটা রান্নার WANA SIS | তৃযা সেই পাগল লোকটাব WISE বুঝতে পেরেছিল জলেব মতো | স্বামীর চেয়েও বেশী UE BIS তাকে | এমনও হয়েছে ছেলেমেয়ে সহ তৃষাকে এখানে চার পাঁচ দিনের জন্য বেখে কলকাতায ফিরে গেছে শ্রীনাথ | সেই সব দিনের কথা ভাবতে চায় না সে এখন আব | এ সব দিনগুলি তার বুকে বিশাল বিশাল গর্ত Yow রেখেছে | কালো এহসো ঢাকা গন্ধব সব | আজো সে একা বসে বসে সেই সব কথা ভাবে আর শিউরে ওঠে গা | তখন ব্যাপাবটা অসঙ্গত মনে হত না কেন যে ! এখন মনে হয়, কী Heats Cars সে কবেছিল | তখন seta ছিল সে | বড়ই গরীব | মল্লিনাথ দেদাব সাহায্য করত | ছেলে- WAT এখানে এলে ভাল খাওয়া পেত, পরিষ্কার জলবায় পেত | অন্য দিকটা তখন কিছুতেই চোখে পড়ত না শ্রীনাথের | কাজে আজ মন লাগছিল না শ্রীনাথেব | মাঝে মাঝে এক রকম হাঁফ ধরা একঘেয়েমির মতো লাগে | মাইনের টাকাটা এখন আর দিতে হয় না তৃষাকে, তার নিজের খাই খরচও নেই | FSA টাকাটা জমে বেশ মোটা ecw দাঁড়িয়েছে । বদ্রী যদি খোঁজ দিতে পারে তবে সে নিজস্ব আলাদা জমি কিনে ভেষজের pra করবে | চাকরি করবে না, সারাক্ষণ দাদা মল্লিনাথেব বাসায় বাস কবাব অপবাধবোধ থেকেও মুক্ত হবে | ore রিডার হলেও প্রেসে তার কিছু খাতির আছে | খাতিরটা ঠিক তার নয়, পয়সার | সবাই জানে শ্রীনাথবাবুব পয়সা হযেছে | সেই খাতিরটুকু মাঝে মাঝে ভাঙায় শ্রীনাথ | বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত টেনে-মেনে কাজ করে সুপারভাইজারকে গিয়ে বলল, আমার ভ্মীপতির বড্ড অসুখ | একটু যেতে হবে | সুপারভাইজার বোসবাবুর সঙ্গে খুবই খাতির তার | বোসবাবু হেসে-টেসে বলেন, গেলেই হয় | ভ্মীপতির অসুখের কথাটা বোধ হয় ১৮



Leave a Comment