কবীন্দ্র মহাভারত [খণ্ড-২] | Kabindra Mahabharata [Vol. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৪ মহাভারতের পাঠ তিনি মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করতেন। কবীন্দ্রও তাঁর কাব্যে পৃষ্ঠপোষক পরাগলের নাম, তাঁর মহাভারত শ্রবণের আগ্রহ সবই লিপিবদ্ধ করেছেন। এসব কারণে পরবর্তী পাঠকগণ হয়ত পরাগলী মহাভারত বলে থাকবেন | আবার কোন লিপিকর হয়তো পরাগলের প্রতি সম্মানবশত পরাগলী মহাভারত লিখে থাকবেন | এ সময় সংস্কৃত মহাভারতের দুর্বোধ্যতার- জন্য তা ছিল সাধারণ জনের ধরা-ছোৌয়ার উর্ধ্বে । এমনই অবস্থায় বাংলা-ভাষীদের কাছে বাংলায় মহাভারত ছিল অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ । এ কারণে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে HA পরাগলের Foy কোন অংশে গৌণ ছিল না। মহাভারতে Means বিজয়ের কথা বর্ণিত হয়েছে বলে একে বিজয়পাওব বা পাওববিজয় বলা হয়। মূলত পরমেশ্বরের কাব্যের নাম Bey মহাভারত | এ বিষয়টি সার্বিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে চতুর্থ অধ্যায়ে | সাধারণত লিপিকর-ভেদে পুথির বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে থাকে । কবীন্দ্রের পুথির ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য | কবীন্দ্র সংস্কৃতের আঠারটি পর্ব অনুসারেই তাঁর মহাভারত রচনা করেছেন! কবীন্দ্রের একটি প্রতিলিপি আছে যাতে আদি থেকে স্ত্রীপর্ব পর্যন্ত লিখিত আছে। এ ত্রুটি লিপিকরের ৷ আর এ ক্রুটিপূর্ণ প্রতিলিপি অনুযায়ী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ সঠিক নয়। কবীন্দ্রের অনেক প্রতিলিপি আছে যেখানে আদি থেকে স্বর্গারোহণপর্ব পর্যন্তই লিখিত হয়েছে৷ কবীন্দ্র সংস্কৃতের সব পর্বই লিখেছেন, তবে রবের নামকরণে কিছুটা পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। এ বিষয়সমূহের আলোচনাও উপস্থাপিত হয়েছে চতুর্থ অধ্যায়ে | পঞ্চম অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয় সাহিত্যিক মূল্য । কবীন্দ্র বাংলায় প্রথম মহাভারত রচনা করলেও তার পূর্বে রামায়ণ, ভাগবত, মনসামঙ্গল প্রভৃতি কাব; রচিত হয়েছে। মধ্যযুগের কোন অনুবাদ aes আক্ষরিকভাবে অনুদিত হয় নি। মূলকে গ্রহণ করে কবিরা নিজের মত করেই রচনা করেছেন। Seiya ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য 1 কবীন্দ্র সুবিস্তৃত সংস্কৃত কাহিনীকে স্বল্পপরিসরে উপস্থাপন করেছেন নিজের মত করে । ছোট বিষয়কে কল্পনার রং মিশিয়ে বড় করা যতটা সহজ, কোন সুপরিসর বিম্বয়ের সারবস্ত অক্ষুণ্ণ রেখে অল্পকথায় পরিবেশন করা ততটা সহজ নয়। ANGST না থাকলে তা মোটেই সম্ভব AI কবীন্দ্র সেই কৃতিত্বের অধিকারী ৷ তিনি নিঃসন্দেহে সুপস্তিত ছিলেন! তাঁর কাব্য মধ্যযুগের কাব্য-বিচারে অতুলনীয় । তার ভাষা সহজ, সাবলীল এবং পরিচ্ছন্ন। তাঁর কাব্য সংক্ষিপ্ত হলেও মহাভারত পাঠের রসাস্বাদনে কোন fay ঘটে না। তিনি সুপরিসর মহাভারতকে এমনইভাবে সংক্ষিপ্ত করে লিখেছেন যে তাঁর কাব্য পাঠ করলে মনে হয় মহাভারত বোধহয় GAA | তিনি কাব্যের বিষয়কে পরিস্কুটনের ক্ষেত্রে অসংখ্য উপমা প্রয়োগ করেছেন | তিনি ছিলেন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত, সম্ভবত এ জন্যই তাঁর কাব্যে তৎসম শব্দের আধিক্য লক্ষণীয় |



Leave a Comment