জীবনানন্দ রচনাবলী [খণ্ড-১] | Jibanananda Rachanabali [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
(১৬) জীবনানন্দ দাশের কাব্যস্ভহ গোখেলের পরামর্শে। ১৯১৬য় স্বরাজের দাবিতে আ্যানি বেসান্ত ও বালগঙ্গাধর টিলক দুটি হোম রুল লীগ প্রতিষ্ঠা করেন, বাংলায় সে আন্দোলন বিস্তার করার ডার নিয়েছিলেন চিত্তরঞ্জ্রন দাশ। ১৯১৭য় পুজোর ছুটিতে চিত্তরঞ্জন ময়মনসিংহ ঢাকা বরিশাল সফর করে উন্মাদনা সঞ্চার করে আসেন পূর্ব বঙ্গে। কিন্তু যে দেশবন্ধুর কথা জীবনানন্দের শোকের, স্মৃতির কবিতায় দ্র." ঝরা পালক, এই বই পৃ ৩৯-৪০ “রূপসী TEN’ ২৩ AIS) পাই, রাউলাট বিল প্রতিবাদের, অসহযোগের পূর্ণায়ত দেশনায়ক, এক দিকে CHT সংহারী, আর দিকে 'ভেঙেছিলে বিলাসের সুরা le তীব্র দর্গে, বৈরাগের রাগে'-নাগপুর কংগ্রেস থেকে ফেরার পর পূর্ণ বৈরাগ্যবতী তিনি। প্রসঙ্গত নাগপুর থেকে ফেরার পরেই ১৯২১এর THATS সময় থেকে তার 'দেশবদন্ধু' পরিচয়েরও শুরু। ১৯১৬য় সান wire ব্রিটিশ, বিরোধী বিপ্লব আন্দোলনে অসংসক্তি হেতু গদর পার্টি রবীন্দ্রনাথের প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র করেন বর্নে কথিত, এদেশি ব্রিটিশ ইনটেলিজেন্স রিপোর্ট অবশ্য জার্মান গুপ্ত কর্মীদের সঙ্গে সংযোগ করার জন্যই রবীন্দ্রনাথের এবারের আমেরিকা Teal | লপ্নের টাইম্‌স কাগজের এক বছরের যুদ্ধ কবিতা সংকলন ৯ অগস্ট ১৯১৫র GEN ছাপা হয়েছিল তার The Trumpet কবিতা, ' তোমার শঙ্খ ধুলায় পড়ে কেমন করে সইব'। সে কবিতা প'ড়ে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন বাইশ বছরের তরুণ cary কবি উইলফ্রেড ওয়েন। 8৪ঠা ফেব্রুয়ারি আবেভিলের SS লাইন থেকে মাকে তিনি লিখেছেন, ‘everything unnat- ural, broken, blasted; the distortion of the dead, whose unburiable bodies sit outside the dug-outs all day, all night, the most execrable sights on earth.’ তার এই নতুন বদলি-র আদেশপত্রীর পিছন-পিঠে ওয়েন পেক্সিলে লিখে রেখেছিলেন 'গীতাজলি'র গান। কিন্তু গানের সে শাস্তি অবশেষ ছিল না কোনোখানে। ১৯১৫য় জ্যুরিখের শিল্পীদের | যে দাদা বিক্ষোভ সে যেন যুদ্ধে দলিত মানবমূল্যের প্রতিক্রিয়া | ১৯১৭র ফেব্রুয়ারী ও অক্টোবরে গণতন্ত্রী ও বলশেভিক বিপ্লব হয় রাশিয়ায়। ১৯১৭য় সদ্য ট্রেঞ্চ থেকে ফিরে আপলিনের চিঠিতে একটি শব্দ বানিয়ে লিখলেন: surre'alisme! তত্বগতভাবে এ হল বিচ্ছিন্তার বিরুদ্ধে ব্যক্তি ও সমূহের বাচার একটা নতুন সন্ধান, কাব্য ও শিল্প সৃষ্টিকে রাজনীতি ও বিজ্ঞানের নিয়মের সঙ্গে মিলিয়ে গড়া একটা নন্দন প্রকল্প, আরস্ভেই তার দলীয়েরা সুর্রিয়ালিস্টিক মুক্তিকে কমিউনিস্ট মুক্তির সজাতীয় বলে স্থির করেছিলেন | রজনী পাম দত্ত লিখেছেন, ব্রিটেন-ভারত সম্বন্ধেরও নানা স্তরে বলশেভিক বিপ্লবের প্রতিফলন ঘটেছিল। ১৯১৭ ডিসেম্বরের কলকাতা কংগ্রেসে স্বায়ত্তশাসন দাবি অনুমোদন হৃল। অধিবেশন Saved দিনে রবীন্দ্রনাথ পাট করলেন ‘victory to the all conquering Light!’ তার India's Prayer কবিতা। পরে বিস্তারে ছাপা হয়েছিল তার মতামত: যুযুধান ইয়োরোপের জঙ্গী জাতীয়তাবদ্ধ দেশের প্রতিশ্রুত com আর আমাদের আত্মশক্তির (বা. শক্তিহীনতার) সে হল অপ্রিয় বিচার, পরিণামে সদ্য জাতিপূজা Raps সত্যসন্ধী অনতিজ্ঞাত আধুনিক রাশিয়ার আশাপ্রদ দৃষ্টান্ত অনুমান করে 'ডারতের প্রার্থনা'র অনুবন্ধের মতো দেখতে পাই এই আহ্বান: to take her place in the procession of the morning going on the pilgrimage of truth...’ (দ্ব4(016 Cross Roads, মডার্ন রিভিউ, জুলাই ১৯১৮)। এই ১৯১৭য় জীবনানন্দ কলকাতায় পড়তে এলেন। কিভাবে গড়ে উঠেছিল তাঁর চিতসংস্কার? জীবনানন্দ লিখেছেন, “কার কাছে শিক্ষা পেয়েছিলাম আমরা? আমি অন্তত তিনজন মানুষের কাছে। একজন বাবা, একজন মা, আর একজন ব্রজমোহন স্কুলের হেডমাস্টার জগদীশ মুখোপাধ্যায়।' তার জীবনপ্রণালী কাব্যসংস্কার দু দিকেই এঁরা সঞ্চার হয়ে আছেন। জীবনানন্দ লিখেছেন চিত্তরঞ্জনের মৃত্যুর পর 'বঙ্গবাণী'তে প্রকাশিত তার 'দেশবন্ধু' sae পড়ে “মা বিক্ষুব্ধ বোধ করেছিলেন... দেশের নানা রকম সাময়িক ঘনঘটাচ্ছন্তার অতীত একটা স্পষ্ট SAC দেখতে চাইতেন তিনি।' সে সময়েও , সেই প্রবল সামাজিক আলোড়নের দিনেও বাইরে থেকে বন্ধুরা তাকে দেখেছেন বিচ্ছিন্ন সুদুর আত্মমগ্ন । দেশনীতির ক্ষেত্রেও HY জাতীয়তাকে শুদ্ধ লোক-কল্যাণের সঙ্গে মেলাতে পারেন না, যেন 3 , মনে হয়। মধ্য পর্বের প্রবলতার সমাজতন্ত্রী চাপের দিনে ষ্টাকে দেখি সরব আত্মবাদী , যেন তার গুরুত্ব উপেক্ষা করা৷ তার অসাধ্য। ১৯৫২তেও দেখি লিখছেন, “রুশ বিপ্লবের ফলে বাংলায় (ও ভারতবর্ষে) বোলশেভিক, সোভিয়েট গ্রভাব সাময়িক ও অনেক প্রশস্তভতাবে দেখা সে পথে চলার মতো তেমন কোনো যোগ্য চিন্তা বা কাজকর্ম দেখা গেল না।' তারও পরে লিখেছেন, প্রায় সিদ্ধান্তোপম: 'জীবন ও সমাজের কোনো শাশ্বত সুধী বা শাশ্বত মীমাংসা আছে বলে মনে হয় না।' অন্তত তার কোনো সরল ব্যবস্থা কারোই দেওয়ার নেই ।দ্র.'যুক্তিজিজ্ঞাসা ও বাঙালি', পূর্বাশা, বৈশাখ ১৩৫৯) |



Leave a Comment