রবীন্দ্রনাথের জীবনবেদ | Rabindranather Jibanbed

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রবীন্দ্র অধ্যয়নের নৃতন দৃষ্টিকোণ ১১ ছাত fem হাসিতে হাসিতে অবলীলাক্রমে চলিয়| যাইত সেটাকে আমি সামাল wal afer মনে করিতে পারিতাম না-্বিশ্বজগতের অতলস্পর্শ গভীরতার মধ্যে যে অফুরান রসের উৎস চারিদিকে হাসিয়া aati ঝরাইতেছে সেইটাকে যেন দেখিতে পাইতাম। সামান্ত কিছু কাজ করিবার সময়ে মানুষের অঙ্গে-প্রত্যঙ্গে যে গতি-বৈচিত্র্য প্রকাশিত হয় তাহা আগে কখনো লক্ষ্য করিয়া cafe নাই--এখন মুহূর্তে মুহূর্তে সমস্ত মানবদেহের চলনের সংগীতে আমাকে মুগ্ধ করিল। এ-সমস্তকে আমি স্বতন্ত্র করিয়৷ দেখিতাম না, একটা সমট্টিকে দেখিতাম। এই মুহূর্তেই পৃথিবীর সর্বত্রই নানা লোকালয়ে, নানা কাজে নানা আবম্তকে কোটি কোটি মানব চঞ্চল হইয়া উঠিতেছে-_সেই ধরণীব্যাপী সমগ্র মানবের দেহচাঞ্চলাকে qs এক করিয়৷ দেখিয়া আমি একটি মহাসৌন্দ্যনৃত্যের আভাস পাইতাম। বন্ধুকে লইয়া বন্ধু হাসিতেছে, শিশুকে লইয়া মাতা লালন করিতেছে, একটা lie আর একটা citer পাশে দীড়াইয়া তাহার গা চাটতেছে, ইহাদের মধ্যে যে একটা অন্তহীন অপরিমেয়তা আছে তাহাই আমার মনকে বিস্ময়ের আঘাতে যেন canal ছবিতে লাগিল । এই সময়ে যে লিবিয়াছিলাম-_ হৃদয় আজি মোর কেমনে গেল খুলি জগৎ আসি সেথা করিছে কোলাকুলি-_ ইহা! কবি ক্ল্পনার অত্যুক্তি নহে। বস্তুত যাহা অঙন্গভব করিয়াছিলাম তাই। প্রকাশ করিবার শক্তি আমার ছিল না।” (পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্দ্ররচনাবলী, দশম খণ্ড, পৃঃ ১০১-১*২) কবি-কাহিনী রচনার কাছাকাছি সময়েই বালক কবি স্বাদেশিকতার উদ্দীপনায় সৃষ্টি করেন হিন্দুমেলার বার্ষিক উৎসবে গীত সেই স্থপ্রসিদ্ধ গানটি “এক স্থত্রে Tate Heals মন এক কার্যে সপিয়াছি AV জীবন ।” এখানে যা শোনা যায় তাকে ভোরের পাখির কাকলির সাথে তুলনা করা চলে | তার মধ্যে শোন! যায় একটা বিমূর্ত হৃদয়াবেগের তরঙ্গধ্বদি। তবু, পাখি কুলায় ছেড়ে যে দিগন্তের অভিমুখে যাত্রায় উদ্যত তার ঈশারা এর মধ্যেই স্পরিস্ফুট হ্য়ে উঠেছে। শেষ বয়সে তিনি প্রথম জীবনের সেই চেতনার জাগরণ সম্বন্ধে বলেছেন।



Leave a Comment