শিক্ষাপ্রসঙ্গ ও দেশ-কাল | Shikshaprasanga O Desh-kal

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দীক্ষাই হবে শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য। আর শিক্ষা! যেন ভালোভাবে বাঁচবার আগ্রহকে জম্ম দেয়, বুদ্ধিকে প্রথর করে, সমাজবোধের ধারণা দেয়, বিচার বিবেচনা করে গ্রহণ-বর্তনের শক্তি দেয়, সর্বোপরি যেন জগৎ ও জীবন সম্বন্ধে বাস্তব দৃষ্টি দেয় শিক্ষার্থীকে । দ্বিতীয় জিজ্ঞাসাটির উত্তরে সর্বপ্রথম মনে হয় আরও কিছু প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হলে অর্থাৎ উত্তরোত্তর বিদ্যালয়ের Ae বৃদ্ধি হলেই কি উদ্দেশ্য সফল হবে ? অথচ বিদ্যালয়-স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য, কারণ, আধুনিক যুগের প্রয়োজন উপযোগী শিক্ষা অ৷/ঙকের যুগে বিদ্যালয়ের মতো সামাজিক প্রতিষ্ঠানই জোগাতে পারে | গ্রাম-সমাজে হোক, শহরের সমাজে বা শিল্পাঞ্চলে হোক, শিক্ষা- কেন্দ্রগুলিই সমাজের যোগ্য কেন্দ্র, ভবিষ্যৎ সমাজ-মানসিকতা গঠনের ও কর্মজীবনের উপযোগী শিক্ষাদানের ভিত্তিভূমি | সুতরাং প্রতি গ্রামে প্রতি শহরে বিভিন্ন মহল্লায় যেখানে প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভাব আছে সেখানেই বিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজন | এইসব বিদ্যালয়ে নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্থযোগ হবে বলেও মনে হয়। জনশিক্ষার প্রসারকল্পে এমন একটি শিক্ষাক্রম প্রস্তুত হওয়া আবশ্যক যাতে অস্তত দুটি বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হবে-_ ১। জীবনের মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সমাজ-সংহতি আত্মস্বার্থ ও সমাজস্বার্থের স্বরূপ, সামাজিক দায়িত্ববোধ | ২ । শ্রামনিষ্ঠা, কোন একটি বৃত্তি শিক্ষা, শিক্ষালন্ধ জ্ঞান উপযুক্ত- ভাবে স্ব-স্ব বৃত্তিতে প্রয়োগের ক্ষমতা-লাভ | উল্লিখিত ot দিকে বিশেষ নজর রেখে একটি কার্যকরী শিক্ষাক্রম প্রস্তুত করা সম্ভব হলে এই শিক্ষায় শিক্ষাপ্রাপ্তের৷ শহরে গিয়ে ভিড় বাড়িয়ে উত্তরোত্তর বেকারসমন্তা বৃদ্ধি করবে না বলেই আশা হয়, অথচ এই শিক্ষা জনমানসে পরিবর্তন ঘটিয়ে উন্নত জীবনদৃষ্টির উদ্বোধন সম্ভব করতে পারে | সমাজের বর্তমান পরিস্থিতিকে বিশদভাবে বুঝবার csi করা যাক | শতাক্দীকালের অধিক আধুনিক শিক্ষা প্রচলিত থাকলেও-_ ভাষা, ধর্ম, af, শ্রেণী ইত্যাদির বিভিন্নতা হেতু গণ্ডিবদ্ধ মনোভাব শিক্ষিত শ্রেণী আজও এড়াতে পারে নি । বর্তমানের অর্থ নৈতিক নৈরাষ্য, উত্তরোত্তর বেকারসমস্তা, ate ও সংহতির পরিপন্থী ১৬



Leave a Comment