দুর্গরহস্য | Durgarahasya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
"৩ চিত্রচোর এখনও আলাপের সুযোগ হয় নাই। এ কয়দিন বাড়ীর বাহির হইতে পারি নাই, নূতন স্থানে আসিয়া! গোছ-গাছ sian বসিতেই দিন কাটিয়৷ শগিয়াছে । আজ প্রথম সুযোগ হইয়াছে ; শহরের একটি গণ্যমান্য বাঙালীর বাড়াতে চা-পানের নিমন্ত্রণ আছে। আমর! যদিও এখানে আনিয়া নিজেদের জাহির করিতে চাহি নাই, তবু কাঠালী চাপায় সুগন্ধের মত ব্যোমক্েশের আগমন-বার্ত। শহরে রাষ্ট্র হইয়া গিয়াছে এনং তাহার ফলে চায়ের নিমন্ত্রণ আসিয়াছে | ব্যোমক্েশকে এত Ay চায়ের পাটি তে লইয়া] যাইবার ইচ্ছা আমাদের ছিল না; কিন্তু দীর্ঘকাল ঘরে বন্ধ থাকিয়া সে অতিষ্ঠ হইয়া উঠিয়াছে; ডাক্তারও ছাড়পত্র দিয়াছেন। ware যাওয়াই স্থির হইয়াছে। আরাম কেদারায় বসিয়| বই পড়িতে পড়িতে ব্যোমকেশ Gey করিতেছিল এবং বারবার ঘড়ির পানে তাকাইতেছিল ! আমি জানালার কাছে টাড়াইয়া অলস ভারে সিগারেট টানিতেছিলাম; সণ1ওতাল পরগনার মনোরম প্রাক্কতিক দৃশ্ত আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া] লইয়াছিল। এখানে শুষ্কতার সহিত শ্যামলতার, প্রাচুর্যের সহিত রিক্ততার fafes মিলন ঘটিয়াছে; মাছের সংস্পর্শ এখানকার কন্করময় মাটিকে গলিত পদন্কিল করিয়৷ তুলিতে পারে নাই। ব্যোমকেশ হঠাৎ প্রশ্ন করিল, “রিক্সা কখন আসতে বলেছ 1?” বলিলাম, “সাড়ে চারটে I ব্যোমকেশ আর একবার ঘড়ির পানে তাকাইয়া পুস্তকের দিকে চোখ নামাইল | বুঝিলাম ঘড়ির কাটার aes আবর্তন তাহাকে অধীর ‘fan তুলিয়াছে । হাসিয়া বলিলাম, “রহু ধৈর্যং রহ ধৈর্যং--।” ব্যোমকেশ খি'চাইয়া উঠিল, “লজ্জা! করে না! আমাকে দেখিয়ে "দেখিয়ে সিগারেট খাচ্ছ ।”



Leave a Comment