জলছবি | Jalchhabi

ছুটবে দীপেনকে খেপাতে। পারেও বটে! রিকশা চলছে। মফস্সল টাউনের বুক চিরে। একসময়ে জায়গাটা বেশ ফাঁকা ফাঁকা ছিল। গত BTS বছরে দোকানপাট গজিয়েছে অজন্র। লোকজনও বেড়েছে। পথচারীদের সামলে সুমলে এশোচ্ছে বুড়ো রিকশাওয়ালা। সামনে টানা ঝিল পড়ল। FRA সবুজ জল, চোখ জুড়িয়ে যায়। সোমনাথ ঘাড় তুলে আকাশটাকে দেখল একঝলক। শেষ BCA ঘন আকাশ। কাল রাত্তিরেও বৃষ্টি হয়েছিল জোর, আজ দিনভর জিরিয়ে নিয়ে ফের বুঝি মাঠে নামার জন্য কোমর বাঁধছে মেঘবাহিনী। সোমনাথের আবছাভাবে মনে হল বরানগরে CSAs পাড়ায় বড্ড জল জমে, সোমনাথ গিয়ে আটকে যাবে না তো? কানের পরদায় নির্মলের নিচু গলা, --দীপেনটা আজ জোর বেঁচে গেল। ওকে আর একটু ঝাড়ার ইচ্ছে ছিল। সোমনাথ হাসল, -_তুমি দীপেন বেচারাকে এত হ্যাটা করো কেন বলো তো? --ওদের দ্বিচারিতাটা আমার সহ্য হয় না। মুখে বড় বড় আদশের বুলি কপচাবে, কিন্তু কাজের বেলায় ফাঁকিবাজদের শিরোমণি। এবং ধান্দাবাজ। সব সময়ে লাইন করে চলেছে কী ভাবে কিছু একটু বাগানো যায়। তুমি তো জানো না ও ব্যাটা কলকাতায় ইতিহাসের একটা Beery স্টাডি সেন্টারের মাথায় বসার জন্য ইদানীং তুড়ে লাইনবাজি চালাচ্ছে। দেখে নিয়ো, উইদিন টু ইয়ারস দীপেন উইল লিভ আওয়ার কলেজ। অথচ তুমি শুনে অবাক হবে, এই দীপেন কিন্তু কলেজ লাইফে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর রাজনীতির ছেলে ছিল। --কী করা যাবে বলো, এটাই এখন যুগের ধারা। — STFA আ্যালাও করেছি বলেই ধারাটা এমন হয়েছে। সর্বংসহা ধরিত্রীর মতো আমরা শুধু সয়ে যাচ্ছি। ১৮