রাজ্ কাহিনী | Raj Kahini

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সূর্যমূর্তি eos জলে ডুবিয়ে দেব ।” যদিও প্রকাণ্ড সেই সূর্যমূর্তি ভীম এলেও তুলতে পারতেন না তবু গায়েবের বীরদর্প দেখে সুভাগার মনে হল--কি জানি কি করে ! তিনি তাড়াতাড়ি গায়েবের দুটি হাত ধরে বললেন,-_-“বাছা শাস্ত হ, স্থির হ, আর সূর্যদেবের অপমান করিসনে ; পিতার নামে কি কাজ ? আমি তোর মা আছি, গায়েবী তোর বোন, আর তোর কিসের অভাব ?” গায়েব তখন কাঁদতে-কাঁদতে বললেন--_“তবে কি মা, আমি নীচ, জঘন্য, অপবিত্র পথের ধুলো, ভিখারীর অধম ?” কথাগুলো তীরের মতো FSA বুকে বাজল, তিনি দুই হাতে মুখ ঢেকে বসে পড়লেন; মনে-মনে ভাবলেন-_হায় ভগবান, কি করলে ? এ YAY ছেলেকে কেমন করে বোঝাই, কি বলে প্রবোধ দিই ? গায়েব গায়েবী নীচ নয়, অপবিত্র নয়, সূর্যের AGA, সকলের চেয়ে পবিত্র, এ কথায় কে বিশ্বাস করবে ? সুভাগার সূর্যমস্ত্রের কথা একবার স্মরণ হল, কিন্তু যখন ভাবলেন যে দুইবার মন্ত্র উচ্চারণ করলে নিশ্চয় মৃত্যু--এই কচি বয়সে গায়েব গায়েবীকে একা ফেলে পৃথিবী ছেড়ে চিরকালের মতো চলে যেতে হবে-_তখন তাঁর মায়ের প্রাণ কেঁদে উঠল | সুভাগা বললেন-_“বাছা কথা রাখ, ক্ষান্ত দে, চল আমরা অন্য দেশে চলে যাই, সূর্যদেবকেই তোদের পিতা বলে জেনে রাখ |” গায়েব ঘাড় নাড়লেন, বিশ্বাস হয় না । তখন সুভাগা বললেন-_"তবে মন্দিরের সমস্ত দরজা TH কর, এখনি তোদের পিতাকে দেখতে পাবি, কিন্তু হায়, আমাকে আর ফিরে পাবি না ।” সুভাগার দুই চক্ষে জল পড়তে লাগল | গায়েবী বললে-_“ভাই, মাকে কেন কষ্ট দাও ?” গায়েব উত্তর না দিয়ে মন্দিরের সমস্ত দরজা বন্ধ করে দিলেন ৷ সুভাগা দুজনের হাত ধরে সূর্যমূর্তির সম্মুখে গিয়ে ধ্যানে বসলেন | এই মন্দিরে একাকিনী সুভাগা একদিন মৃত্যু ইচ্ছা করে যে মন্ত্র নির্ভয়ে উচ্চারণ করেছিলেন, কালসর্পের মতো সেই সূর্যমন্ত্র আজ উচ্চারণ করতে তাঁর মায়ের প্রাণে কতই ভয়, কতই ব্যথা ! সূর্যদেব দর্শন দিলেন-_সমস্ত মন্দির যেন রক্তের স্রোতে ভাসিয়ে প্রচণ্ড মূর্তিতে দর্শন দিলেন | সুভাগা বললেন-_“প্রভু গায়েব গায়েবী কার সম্ভান ?” সূর্যদেব একটি কথা কইলেন না | দেখতে-দেখতে সূর্যের প্রচণ্ড তেজে ভিখারিণী সুভাগার সুন্দর শরীর জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়ে গেল ৷ গায়েবী কেঁদে উঠল-_“মা, মা !” গায়েব জিজ্ঞাসা করলেন-_“মা কোথায় ?” সূর্যদেব ১৬



Leave a Comment