ভারততীর্থ | Bharattirtha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অসুবিধার কথা কেউ গ্রাহাই করিনি। সকলেই সংলাপে মশগুল | ঠিক সংলাপ নয়, খানিকটা প্রলাপও বটে। গতির আনন্দ দোলা দিয়েছে আমাদের প্রাণে । এ তো একক দেশ-ভমণ ময়, এ যেন হংস-বলাকার নিরুদ্দেশ যাত্রা । পিছনে পড়ে রইল আমাদের অহোরাত্র সংকীর্তনের আসর অর্থাৎ দিবারাত্রির কলেজ, পারসেনটেজ দেওয়ার Void আর প্রেরণাহীন wise বক্তৃতা দানের পবিত্র কর্তব্য ও দায়িত্ব । বৈকালিক জলযোগের সময় হতেই ক্ষুধার Crus হল। কিন্তু গাড়ি দাড়াবে সেই খড়াপুর | ততোক্ষণে সন্ধ্যা পার হয়ে যাবে? তাহলে 1 আমাদের উদ্ধারকল্পে এগিয়ে এলেন ইতিহাসের প্রবীণ অধ্যাপক প্রমথনাথ চক্রবর্তী। যারা বলেন এঁতিহাসিক কেবল অতীত কাহিনীর কথক, তাঁরা সবটুকু বলেন না। আজ আমাদের প্রত্যক্ষ জ্ঞান হল এতিহাসিক ভবিষ্যতেরও Ms! প্রমথবাবু আগেভাগেই বুঝতে পেরেছিলেন আমাদের সম্ভাব্য ছুর্গতির FA | এন্দ্রজালিকের ঝুলির মতে৷ তার হাঁড়ি থেকে একে একে বেরুতে লাগল রক্মারি খাবার--বিশুদ্ধ গব্যঘৃতের ফুলকো লুচি, অতুলনীয় আলুর দম ( আহা | স্বাদটুকু যেন এখনও লেগে আছে মুখে )'* তৃতীয় পাত্র থেকে যা বেরুল তার চেহার| দেখেই আমাদের চক্ষুস্থির। মরি মরি ! এমন উপাদেয় মোহনভোগ কতোকাল দেখিনি। কোথায় একখণ্ড শুকনো পাউরুটি চিবিয়ে সায়মাশ সারব ভেবেছিলুম, আর তার পরিবর্তে কিনা এমন অপূর্ব ভুরিভোজ ! জয়তু প্রমথবাবু! এরপরে যখনই যেখানে যাব আপনারই চরণে শরণ নেব! এক নয়, ছুই নয়, আমর৷ এগারো জন অধ্যাপক; অধ্যাপক তো নয়, একাদশ FAA তৃপ্তি বিধান করলেন প্রমথবাবু। 29



Leave a Comment