তিন কাহিনী | Tin Kahini

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মহাতাপ CSS তুলিয়া লইয়া দাদাকে ত্যাঙচাইয়া দিল-_হায়রে হায়! * হায়রে হায়! ওই এক আচ্ছা! বুলি শিখেছ। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ মহাতাপ কথাটা মিথ্যা বলে নাই; ওই “হায় রে হায়' কথাটা সেতাবের মুখে লাগিয়াই আছে। উঠিতে বসিতে সে বলে-_ সেদিনের কথা এর মধ্যে ভুলে গেলি সব। হায় রে হায়। হায় রে হায়। অর্থাৎ কথাটা সকলেই তুলিয়াছে কেবল সেতাব ভুলিয়া যায় নাই। কথাটার মধ্যে সেতাবের জীবনের পরম অহঙ্কার নিহিত আছে। বেশী দিনের কথা নয়, সেতাবের বাপ প্রতাপ মণ্ডল হঠাৎ মারা গেল, সেতাবের বয়স তখন বারো, মহাতাপের বয়স ছয়। মাঝের একটি ভাই তাহাদের নাই। প্রতাপের মৃত্যুর মাস কয়েক না যাইতেই মহাজন পরপর তিনটা নালিশ করিয়া প্রতাপের সম্পত্তি cate করিয়া afi | প্রতাপ মণ্ডল ইাকডাকের মানুষ ছিল। নামেও প্রতাপ কাজে ও প্রতাপ ছিল | গ্রামের shows, জমিদারের মণ্ডল, ইউনিয়ন বোর্ডের মেম্বার অনেক কিছু ছিল । গ্রামের কাছেই আধা শহর লক্ষ্মীপুরের ব্যবসায়ী মহাজন বাবু: লোকদের কাছেও খাতির ছিল । মনটা! ছিল উদার, মান্যটা ছিল ote! বাড়িতে চাষের ধুম ছিল। লক্ষ্মীপুরেব বাবুরাঁও অনটনেব বর্ষায তাহাব কাছে ধান ‘ate অর্থাৎ ধার লইত ৷ হঠাৎ প্রতাপ মণ্ডল বাবসায়ে নামিয়া বসিল। নামিল এমন ব্যবসারে নামিল যাহার সঙ্গে তাহার কোন পরিচয় ate | ইউনিয়ন বোর্ডের সেক্রেটারি জগাই পাঠকের শুন্য বখরাদাব করিয়া ঠিকাদারির কাঙ্জে at fiat পড়িল । সালটা তখন ১৯২৬-২৭ সাল। সবে দেশে ইউনিয়ন বোর্ড হইয়াছে | প্রতাপ মণ্ডলের বোর্ডে হঠাৎ বছরের শেষাশেষি খবর আসিল- সরকার পানীয় জল সরবরাহের জন্য ইন্দারা করিতে টাকা দিবেন; শর্ত ইউনিয়ন বোর্ডকে এক-চতুর্থাংশ টাকা দিতে হইবে। এক একটা ইন্দারায় প্রায় Teen করিয়া টাকা খরচ, অর্থাৎ ইউনিয়ান বোর্ডকে একশো পঁচিশ আন্দাজ দিতে হই্বে। প্রতাপ নিজের গ্রামে ইন্দারার জন্য চাদ তুলিতে চেষ্টা করিল কিন্তু পায়ে অনেক * ধুলা মাখিয়া ছাটাইাটি করিয়া! পঁচিশ টাক! কয়েক আনার বেশী tin তুলিতে ofa না। এই সময় জগাই vibe তাহাকে পরামর্শ দিল-_-মোড়ল এক কাজ কর। ইন্দারাটা তুমি ঠিকে নিয়ে নাও। ঠিকাদারির একটা লাভ আছে তো, সেই লাতে ও টাকা Bes যাবে! আমি দ্বেখে-শুনে সব ঠিক করে দোৰ। ১৪



Leave a Comment