জীবন প্রবাহ | Jiban Prabaha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভীবন-প্রবাহ - ১১ বাবার লেখাপড়ার সুযোগ খুব বেশী ঘটে ate) আঁর সেদিনে আমাদের মতো সাধারণ পরিবারের ছেলের পক্ষে ইংরাজী শেখা ছিল খুবই কঠিন। ইংরাজী বিদ্যালয় আমাদের অঞ্চলে ছিল না একটিও। বাবাকে অল্প বয়সেই চাকুরী করিতে যাইতে হয় দক্ষিণ সাহবাজপুরের কোনো জমিদারের কাছারীতে । ১৮৭০ সালে সাহবাজপুরের বড় তুফান ও বন্যার সময় তিনি সেখানেই ছিলেন৷ সে-সময়ে ঘরের চালে ঝুলিয়! থাকিয়া! তিনি কোনোরূপে বীচিয়াছিলেন একথা বছবার তাহার নিজ মুখেই শুনিয়াছি। তারপর সাহবাজপুরের চাকরী ছাড়িয়া তিনি যান কুচবিহারে-পিসেমহাশয়ের ওথানে--নূতন চাকরীর CATH A বোন-দিদ্ির বিবাহ কীর্তিনাশার ভাঙনের পূর্বে সাবেক বাড়ীতে যে-ঘটনাটি আমাদের পরিবার ও আমার ভাবী জীবন-ধারার উপর বিশেষ আধিপত্য বিস্তার করে তাহ আমার বড় দিদির বিবাহ। বড় দিদিকে আমরা বোন-দিদি বলিতাম। বোন-দির বিয়ে হয় আমার জন্মের তিন বৎসর আগে তার বারে! তেরো বংসর বয়সের AT! পূর্ব নুড়িয়ায়, আমাদের বর্তমান নূতন বাড়ীর অল্প একটু দক্ষিণে, অভয় মুখুজ্যের বাঁড়ী। তারই তৃতীয় ছেলে নবীন মুখুজ্যের সাথে তার বিয়ে হয়। অভয় মুখুজ্যে ছিলেন লৌনসিংহের জমিদার দাসবাবুদের দেওয়ান । তাকে আমি Saray দেখি নাই। তবে যতোটা গুনিয়াছি তিনি রসিক অথচ রাশতারী লোক ছিলেন! তার সংসারের বন্দোবস্ত ছিল অতি পরিপাটি । সেই সুবন্দোবন্তের



Leave a Comment