অসামান্য পত্রলেখিকা নিবেদিতা [সংস্করণ-১] | Asamanya Patralekhika Nibedita [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অসামান্য পত্রলেখিকা নিবেদিতা চতুর্থ পত্রে (৯ মার্চ, ১৮৯৯) নিবেদিতার মননখদ্ধ দৃষ্টিতে শ্রীশ্রীমায়ের এক নীরব অথচ গভীর ভাবময় ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠেছে। তখনও পর্যন্ত নিবেদিতা আশা করছেন ইংল্যান্ড ও ভারতের মিলন আসন্ন। || এক || ইসলামাবাদ ও শ্রীনগরের মধ্যবর্তী ঝিলাম নদীর ওপর (হাউসবোটে বসে লেখা), কাশ্মীর, রবিবার সকাল, ৭ আগস্ট, ১৮৯৮ প্রিয় নেল, আগের চিঠির ঠিক পরে পরেই অত্যন্ত সুন্দর তোমার শেষের যে চিঠিটি এক রবিবার সকালে লিখেছিলে, তারপর অনেক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আজ আর একটি রবিবারের সকাল। আমরা (ঝিলামের বুকে) শ্রীনগরের দিকে এগিয়ে চলেছি। এইমাত্র কনসাল পত্নী তার স্বামীর কাছে রওনা হয়ে গেলেন, তাই আমি এখন একা একটি নৌকাতে আছি। ওদিকে স্বামীজীর নৌকাটি, আর মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুলের নৌকা ঠিক আমার পিছনে আছে। আমরা ওদের নৌকাতে খাওয়া-দাওয়া করতে যাই। (সেকালে জলখাবার খাই ছ-টায়, দুপুরের খাওয়া বেলা বারোটায় আর রাতের খাওয়া সেরে ফেলি বিকেল পাঁচটা অথবা BOT 1) নদীটিকে কাঁচের মতো স্বচ্ছ দেখাচ্ছে । আমরা ধীরে ধীরে চলেছি-_ যাত্রাপথে মৃদুমন্দ বাতাস আমাদের আলতোডভাবে ছুঁয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন স্বর্গে রয়েছি। আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এসব শেষ হয়ে যাবে। একমাত্র সান্ত্বনা-_ এই আনন্দময় প্রতিটি মুহূর্তের জন্য আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তোমার চিঠি পেয়ে কী যে ভালো লাগল! এতটা তো আশা করিনি, কারণ আমার ধারণা ছিল তুমি চিঠি লেখা একেবারেই পছন্দ কর না। তোমার অপর চিঠিটি ঠিক সময়ে এসেছে-_তাই মনে হল তোমার সঙ্গেই যেন তোমার নির্জনবাসের (রিট্রিট) সপ্তাহটি কাটালাম। অক্সফোর্ড বেছে নিয়ে খুব ভালো করেছ। পাঁচ পাউন্ড খরচের ব্যাপারটা কতই না আনন্দ দিয়েছে। এইরকম ১৪



Leave a Comment