রবীন্দ্রনাথ (কবি ও দার্শনিক) | Rabindranath (Kabi O Darshanik)

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মাহষের সাধনা অসীমের অহকুল করিয়৷ আমিকে গড়িয়া তোল৷!। আমিত্বকে স্ফীত করিয়া তাহার প্রয়োজন ও সামর্থ্যের asa করিয়] অসীমকে লাভ করিতে গেলে সমস্যার সমাধান হয় না। রবীন্দ্রনাথ তাই নিরস্তর এই প্রার্থনা জানাইয়াছেন, “fate ফিরাও তাহাকে আত্মাভিমান হইতে ফির!ও | দুর্বল প্রবৃত্তির নিদারুণ অপমান হইতে তাহাকে রক্ষা! Sea | বুদ্ধিব জটিলতাব মধ্যে আর তাহাকে fawa হইতে দিয়ো Wi তাহাকে প্রতিদিন তোমার বিশ্ব-লোকে, তোমাব সৌন্দর্য-লোকে আকর্ষণ কবিয়] তাহার চির জীবনের cry চূর্ণ করিয়া ফেলো ।” (উৎসব-ধর্ )* মহৃয্য-সমাজ সমগ্র স্ষ্ট-রূপের একটি পর্য্যায়। আবার এই নিখিল বিশ্ব এক শাশ্বত চিরস্থির Sega বক্ষে অস্বির একটি বিন্দু, একটি চঞ্চল বীচি বিক্ষেপ, একটি চপল ছায়া। ব্যক্তি, বিশ্ব ও বিশ্বাতীত যে তত্ত্বে বিপুত, এই সমস্ত কিছু যাহার ক্ষণিক প্রকাশ, তাহারই মধ্যে এই জীবন ও জগতের অর্থ অপ্বেষণ করিতে হইবে । কেবল ওই GS AIS করিলে জীবনের সকল সমস্যার সমাধান লাভ WHI সেই রহস্ততভেদ করিলে সব কিছুর সহিত জীবনেরও রহস্য ভেদ হইয়া যায়। কারণ এই জীবন ও জগৎ তাহার অখণ্ড রূপ কল্পনার অন্তর্গত সামান্য একটি অংশ মাত্র | জাগতিক জীবন নিযষ্ত্রিত হয মন ও বুদ্ধির সহাযতায়। তাই জীবনের সম্পূর্ণ অর্থের প্রকাশ কোন রূপেই ঘটিতেছে al) জীবন ক্রমাগত জটিল ও সমস্তামসস্কুল হইয়া উঠিতেছে। অগ্যাত্নজীবন নিয়ন্ত্রিত হয সম্পূর্ণ পৃথক এক প্রেরণার দ্বারা। উহার WHT তাই জাগতিক কোন সংস্কার দ্বারা বুঝিবার চেষ্ট! বৃথা । উহার yA বোধ, নীতিবোধ আমাদের জীবন-ধারার এমনই বিপরীত! তখন তাহার সকল FY, সকল ভাব ও ভাবনা দিব্য-কর্য, দিব্য-তাব ও ভাবনায় পরিণত হয়। ART তখন হয ঈশ্বরীয় কর্শ্নের WRAT! তখন তাহার সকল প্রেরণা, সকল প্রয়াস তাই অত্রান্ত, অমোঘ ও অনিবাধ্য্য হয়। এই দিব্য-জীবন লাভের একমাত্র অস্তরায় মানুষের অহঙ্কার বা আমিত্ব বোধ । ইহাই সীমার বোধ | অহঙ্কার বিসর্জান না দিলে দিব্য-জীবন লাভ অসম্ভব | এই জন্যই নিরস্তর প্রার্থনা, এই GIF যোগাত্যাম, eave জ্ঞান, কর্ম ও ভক্তি | কোন একটি পথ আশ্রয় shea মন ও বুদ্ধির সীম! ছাড়াইয়া যাইতে হইবে। ঈশ্বরীয় বোধে নিঃশেষ বিলুপ্তি, পরিপূর্ণ আত্মবিপর্জান--ইহাই একমাত্র সাধনা। সমগ্র জীবন যেন হয় এক অখণ্ড প্রণাম আত্ম নিবেদনের তাবে ভরা | ৯



Leave a Comment