অবসরিকা | Abasarika

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অবসরিকা এক কানাকড়ি দান নেই-_এটা বললে গোটা জাতের আঁতে লেগে ACA | আর একটা ব্যাপার, মিনিগুলো থামার ভান করেও কেন পুরোপুরি থামে না? এই ছুটলাম এই ছুটলাম ভয় দেখায় বুড়োদের, মেয়েদের, শিশুদের | পৃথিবীর কোনো শহরে বাস ড্রাইভার তো এত ব্যস্ততা দেখায় না! বৎস সারথি, ব্যস্ত হয়ো না। ব্যস্ত হয়ে কোনও লাভ হয় না। কাজের জায়গায় পৌঁছেও লোকের অঢেল সময় থেকে যায়। এত সময় আছে বলেই তো কোম্পানির মালিকরা হাজার হাজার লোককে স্বেচ্ছা অবসর দিয়ে বিদেয় করতে চায়। দূর। যেমন মানুষ, তার তেমন ভাবনা! এতোদিন এই বলরাম বিশ্বাস নিতাযাত্রীর সংগ্রাম করেছে প্রতি সকালে, নিয়মিত অফিস পৌঁছনো এবং ওখানকার সময় শাসন ও নির্দেশিকা মেনে চলা ছাড়া আর কোনও ভাবনা ছিল না। কিন্তু আজ সকালে রাস্তার চেনা-জানা মানুষরাও আমাকে দেখে তেমন যেন ব্যস্ত হচ্ছেন না। দুনিয়ার কোথাও তো এখনও রটে যায়নি যে বলরাম বিশ্বাস চাকরি থেকে রিটায়ার করেছেন--দলঞ্ছুট হয়েছেন তিনি। ব্যাপারটা কিভাবে ঘটলো কে জানে? ট্রামরাস্তার ধারে একটা গাছতলায় দাঁড়িয়ে FLAG] আমার কাছে উদঘাটন হল। এই পৃথিবীতে জামাকাপড়ই মানুষের অর্ধেক কথা নিঃশব্দে ফাস করে AA | সাধে কি আর এদেশের সম্ন্যাসীরা আত্মশ্রাদ্ধ করেই গেরুয়ার আশ্রয় নেয়! সাধে কি স্বামীহারা হয়ে রং বিসর্জন দিয়ে সাদা ক'পড়ে যোগিনীর রূপ নেয় মেয়েরা | বলরাম বিশ্বাস যে আজ শার্ট-প্যান্ট এবং বেল্ট পরেনি তা দুনিয়ার সবাই দেখতে পাচ্ছে। হাফ হাতা শাদা পাঞ্জাবি পরেই আমি রাস্তায় বেরিয়ে এসেছি এবং সমস্ত পৃথিবী ঝটপট সিগন্যাল পেয়ে গিয়েছে আমি আর যেখানেই যাই আজ কিছুতেই অফিসমুখো হচ্ছি না। অবস্থাটা মোটেই ভাল লাগছে না Gala | এই শহরের জন-অরণ্যে হারিয়ে যাবার জন্যে আমি একটা মিনিবাসে উঠে পড়তে চাই | কিন্তু মিনির কনডাক্টরদেরও কি তৃতীয় নয়ন আছে? মানুষ দেখেই কোথায় যেতে চায়, ২১



Leave a Comment