মঙ্গলচণ্ডীর গীত | Mangalchandir Geet

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তুমিকা 1০০ কবি এখানে অল্প কথায় পতিবৃতা উমার কল্যাণী মাতৃমূত্তিটি স্ুন্দরভাবে অঙ্কিত করিয়াছেন। চণ্ডিকা ও মঙ্গলচণ্তী---কোনও কোনও অংশে পৌরাণিক চণ্ডিকার সহিত মঙ্গলচওীর সাদৃশ্য দেখিতে পাওয়া যায়। অসুর-দলনী চণ্ডিকার পরিকল্পনা- অনুযায়ী চণ্ডীমঙ্গলেও দেবীকে frm মঙ্গল অসুর বধ করানে৷ হইয়াছে। দ্বিজ মাধব লিখিয়াছেন, মঙ্গল নামক দৈত্য বধ করিয়াই দেবী মঙ্গলচণ্ডী আখ্যা ats sacra অষ্ট-মাতৃকা৷ ও ডাকিনী-যোগিনী পরিবৃত হইয়া দেবী যেতাবে যুদ্ধ করিয়াছেন তাহার সহিত মার্কওণেয়-পুরাণ-বণিত চণ্ডিকার মিল আংছ। শুধু তাহাই নহে, কলিঙ্গ নৃূপতি ও সিংহল নৃপতির সহিত যুদ্ধে মঙ্গলচণ্ডীর যে-চিত্র অঙ্কিত হইয়াছে, তাহাও ভয়ঙ্করী মহিঘমদ্দিনীরই প্রতিচছবি। মঙ্গল-দৈত্যবধের কাহিনী দ্বিজ মাধবের কাব্যে ও পরবস্তী অন্য দু'একটি চণ্ডীমঙ্গলে afte হইয়াছে। মুকুন্দরাম দেবীর এই স্বর্গ লীলা গ্রহণ করেন নাই! ইহার পরিবর্তে তিনি উমা-মহেশের কাহিনী বর্ণ না করিয়া সেই পৌরাণিক ভিত্তির উপর চণ্ডীমঙ্গলের মূল আখ্যায়িকা স্বাপন করিয়াছেন। মঙ্গল-দেত্যের কাহিনীটি আখ্যায়িকার মুখবন্ধস্বরূপ গ্রহণ san দ্বিজ মাধব দেবীর ভয়ঙ্করী মৃত্তিকেই প্রাধান্য দিয়াছিলেন। কিন্তু পরবর্তী যুগে দেবীর উগ্র যুত্তি অপেক্ষা তাঁহার কল্যাণী wer দেশবাসীকে অধিক অনুপ্রাণিত করিতে লাগিল | সেজন্য মুকুন্দ ও তাহার অনুসরণ করিয়৷ অধিকাংশ চণ্ডীমঙ্গল লেখক মঙ্গল-দেত্যের কাহিনীর পরিবর্তে উমার জন্ম-বৃত্তান্ত বণ না করিয়া চণ্ডিকার স্থলে উমাকে দেবীর আসনে প্রতিষ্ঠা করিলেন। কিন্তু উমার সহিত সমীকরণের দ্বারা মঙ্গলচও্ডীর চরিত্রগত হিংস্রতা দূর করা সম্ভব হয় নাই। ভক্ত বিপদে পড়িলে দেবী তৎক্ষণাৎ তাহার সম্মুখে wigan সিংহ-বাহিনী মুত্তিতে আবির্ভূত হন, সমস্ত Dehra দেবীর এই ভয়ঙ্করী মৃত্তি অঙ্কিত হইয়াছে। মুকুন্দরাম পিখিয়াছেন--কালকেতুর অনুরোধে, নিজ যুত্তি ধরিতে চণ্ডিক! কৈল মন।। মহিঘ-মদ্দিনী-রূপ afta phos | আট দিকে শোভা করে অষ্ট-নায়িকা ।। সিংহ-পৃষ্ঠে শোভা করে দক্ষিণ চরণ। মহিষের পৃষ্ঠে বাম পদ আরোহণ।!। ইত্যাদি



Leave a Comment