নীল বিদ্রোহ ও বাঙালী সমাজ | Neel Bidraha O Bangali Samaj

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৪ নীল-বিদ্রোহ ১৫৯৮ সালে ফরাসীদেশের রাজা ফরাসী দেশে নীলের ব্যবহার বে-আইনী বলে ঘোষণা করলেন। ১৬*৯ সালে রাজা চতুর্থ হেনরী আরও এগিয়ে গিয়ে নীল ব্যবহারকারীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের আইন জারী করলেন। জার্মানিতেও wet কঠোর ব্যবস্থা অবলম্বিত হল। জার্মানিতে ভোড প্রস্ততকারীরা সমাজে বিশেষ স্থান অধিকার করতেন-_তারা “ভাইড হেরেন” (ভোডের জমিদার ) উপাধিতে ভূষিত হতেন। ১৬০৭ সালে জার্মান সম্রাট রুডল্ফ জার্মানিতেও নীলের ব্যবহার বে-আইনী বলে ঘোষণা করলেন | ইংল্যাণ্ডেও একদিকে cote আর একদিকে নীল ব্যবহারকারীদের মধ্যে সংগ্রাম অনেকদিন পর্যন্ত চলেছিল । ইংল্যাণ্ডের Seay কাপড় রঙ করবার জন্য শুধু ভোড ব্যবহার করতেই জানত--নীল ব্যবহার করবাব কায়দা জানত না। তাই অনেক ইংরেজ বস্ত্র-ব্যবসায়ী হল্যাগু থেকে কাপড রঙ করিয়ে আনত এবং এইসব বস্তু উৎকৃষ্ট ও জনপ্রিয় বলে বেশি মূল্যে বিক্রি করত | একজন প্রতিষ্ঠাবান ইংরেজ ব্যবসায়ী হল্যাগু থেকে নীল ব্যবহার ক্রার কায়দা শিখে এলেন এবং ১৬০৮ সালে ইংল্যাণ্ডের রাজার নিকট থেকে নীল দিয়ে sine রঙ করবার একচেটিয়া অধিকার লাভ করলেন । তার সঙ্গে সঙ্গে ইংল্যাণ্ডে প্রস্তুত বস্ত্র হল্যাণ্ডে রঙ করা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল। তার ফলে ইংল্যাণ্ডের সাধারণ তন্তবায় ও বস্ত্র ব্যবসায়ীরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হতে লাগল এবং এই আইনের বিরুদ্ধে ও নীল ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আন্দোলন শুরু করে দিল । আন্দোলন এমন পর্যায়ে উঠল যে আদালতের এক বিচারে বিচারপতিকে এই বলে রায় দিতে হল যে নীল বিষাক্ত দ্রব্য, স্থতরাং সাধারণের স্বার্থে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন । এই রায় অনুসারে একটা আইন প্রণীত হতেও বিলম্ব হল না, এবং সেই আইন পরবর্তা €* বৎসর ধরে বলবৎ রইল | কিন্তু এতসব কঠোর ব্যবস্থা অবলম্বন করা সত্বেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বন্ুশিল্পের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে নীলের ব্যবহার বেড়ে যেতে লাগল ও সেই SLITS ভোডের চাঁযও কমতে লাগল, আর ভোড রঙ প্রস্তুত করবার কারখানাগুলিও উঠে যেতে লাগল। অন্যদিকে নীল ব্যবহারের ফলে Bate ও বেলদ্জিয়মের বস্তশিল্প RS প্রসার লাভ করতে লাগল। ইংল্যাণ্ডের Tah এত ক্ষতিগ্রস্ত হতে লাগল যে তার প্রতিবিধানের oy রাজা দ্বিতীয় চার্লস ১৬৬০ সালে নিজের দেশের বস্ুশিক্পকে বাচাবার ag



Leave a Comment