বাংলার লোক-সাহিত্য [সংস্করণ-২] | Banglar Lok-sahitya [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
1৩/০ আকর্ষণ we হইবার বিশেষ কতকগুলি কারণ হইয়াছিল, তাহাদের কথাই এখানে উল্লেখ করিতেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগে যখন আমি Geiss অধ্যাপক faye হই, তখন আমার শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক ডক্টর Fae স্থশীলকুমার দে মহাশয় এই বিভাগের অধ্যক্ষ ছিলেন । তিনি তখন বাংলা প্রবাদ সংগ্রহের কায্যে নিযুক্ত ছিলেন। এবিষয়ে তাহার অঙন্গরাগ ও অধ্যবদায়ের পরিচয় তাহার “বাংলা প্রবাদ* ( দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৫৯ ) নামক wafafos সন্কলনে প্রকাশ পাইয়াছে | তাহার প্রত্যক্ষ macs আসিবার ফলেই পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত প্রবাদ-সংগ্রহের কাষ্যে আমি প্রের্ণ। লাভ ofa তাহার ফলে আমি অল্পদিনের মধ্যেই বহু অপ্রকাশিত প্রবাদ সংগ্রহ করিতে সক্ষম হই | তাহাদের কতক ডক্টর Aye BWhagata দে মহাশয় মন্কলিত উক্ত সংগ্রহে স্থান লাভ করিয়াছে | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ অতঃপর যখন সংস্কৃত বিভাগ হইতে AUB CSA যায়, তখন আমার শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, সাহেব বাংলা বিভাগের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন এবং আমি নবগঠিত বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হই । ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, সাহেবের মত লোক-সাহিত্য প্রেমিক ব্যক্তি আমি অতি অল্পই দেখিয়াছি। ১৯৩৮ সনে মৈমনসিংহ জিলার কিশোরগঞ্জ সহরে পূর্ব মৈমনসিংহ-সাহিত্য-সম্মিলনীর একাদশ বাধষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত oy, তাহাতে তিনি সভাপতি ও আমি সম্পাদকের পদ গ্রহণ করি | এই সম্মিলনীর সভাপতিরূপে লোক-সাহিত্যের মূল্য সম্পর্কে তিনি যে একটি afsfes মুদ্রিত অভিভাষণ পাঠ করেন, তাহা সমসাময়িক প্রায় সকল পত্রিকাতেই আঙ্পৃর্ষিবক প্রকাশিত হইয়াছিল- বহু পত্রিকার সম্পাদকীয় মস্তব্যেও ইহার জন্য তাহাকে সাধুবাদ crea হইয়াছিল । তাহার লোক- সাহিত্য-প্রীতি কেবল মাত্র বক্তৃতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না; তিনি অচিরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্ঠালয়ের বাংলা বিভাগ হইতে একটি লোক-সাহিত্য-সংগ্রহ-সমিতি গঠন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামান্য অর্থনাহায্যের উপর নির্ভর করিয়াই বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল হইতে লোক-সাহিত্যের উপকরণ সংগ্রহ করিবার কায্যে আত্মানয়োগ করেন । তিনি এই সমিতির সভাপতির ও আমি সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করি। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসিদ্ধ পালাগান সংগ্রাহক



Leave a Comment