গৌর ভাগবত [খণ্ড-১] | Gour Bhagabat [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
শ্রীকৃষ্ণ মিশরের একখানি গ্রন্থ আছে যার নাম প্রবোধ চন্দ্রোদয়। অনেকেই মনে করেন এই প্রবোধ চন্দ্রোদয় গ্রন্থের পরেই ভারতীয় মনীষা-প্রাচীন fa অস্তগত হয়েছে। এর পূর্বে যে সমস্ত বিদেশী হানাদার ভারতে এসেছে বা তার কোন কৌন অংশ SIE করেছে, তারা সাময়িক ভাবে জয়ী হয়েও পাকপাকি ভাৰে ভারতীয় এতিহ্র কাছে, ভারতীয় মনীষার কাছে পরাভৰ স্বীকার করে ভারতীয় সংস্কৃতির মুলজ্রোতের মধ্যেই নিজেদের মিশিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় সংস্কৃতির তখনও আত্মিকরণের ক্ষমতা ক্রিয়াশীল ছিল বলেই এট সম্ভব হয়েছে। কিন্তু মুসলমান বিজয়ের পর থেকেই এর ব্যতিক্রম শুক হল বল! যায়। এর কারণ সমকালীন সাহিত্য পাঠ করলে wie আলোর মত স্পষ্ট হয়ে ওঠে । জারি তার জঙ্গম শক্তি হারিয়ে ফেলেছে বলেই বিদেশী সংস্কৃতির স্বাঙ্গীকরণ ক্ষমতা তার BIAS হয়ে গেছে । বীরবল প্রমথ চৌধুরীর একটি সনেটের ছুটি ছত্র থেকে whe বিজয়ের প্রেক্ষাপট স্পষ্ট হয়ে ওঠে : আদিরসে দেশ ভাসে, অজয়ে জোয়ার | বঙ্গভূমি পদে দলে, তুরক্ষ শোয়ার | আমরা যেন চোখের সামনে দেখতে পাই বিদেশী হানাদারগণ ভারত FACS কেবল পদদলিত নয় বিধ্বস্ত করে ফেলছে। ভিতরে ভিতরে অবক্ষয় শুরু হয়েছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছিল এবং সংস্কৃতি তার জঈমশক্তি হারালেই অবক্ষয় অনিবার্য হয়ে ওঠে | অবক্ষয় ও পরবশতার যুগপৎ অভিঘাতে ভারতীয় জীবন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভারতীয় সমাজ বেতসবৃত্তি ও কুর্মবৃত্তি আশ্রয় করে cin তার অস্তিত্ব রক্ষা করেছিল । বেতসবৃত্তি আশ্রয়ের ফলে ভাবতীয় সমাজে কপটতায় নিপুণতাই সংস্কৃতির শ্রেষ্ট



Leave a Comment